- কটিয়াদীতে গভীর নলকূপ বন্ধ থাকায় চাষ ব্যাহত পতিত ১৫০ বিঘা জমি
মিয়া মোহাম্মদ ছিদ্দিক,কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
ভরসা ছিল কৃষি-সেচ দফতরের গভীর নলকূপ। কিন্তু তিন বছর ধরে তা খারাপ হয়ে থাকায় কটিয়াদী পৌরসভার বীরনোয়াকান্দি এলাকায় মৌজার ১৫০ বিঘা তিন ফসলি জমি বর্ষায় আমন চাষের পরে সারা বছর পতিত হয়ে থাকছে। সেচের অভাবে আলু এবং বোরো ধান চাষও তিন বছর ধরে বন্ধ। প্রতিবছর প্রায় তিন হাজার মণ ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক। এ ব্যাপারে এলাকার কৃষি অফিস ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন দফতরে যোগাযোগ করা হলেও এর কোন সুরাহা হচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। আর এই অবস্থার জন্য তাঁরা দুষছেন সরকারি উদাসীনতাকেই।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন দফতর এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,এখানকার ১৫০ বিঘা জমির অধিকাংশ মালিকই বর্গাদার বা পাট্টাদার। তাঁদের এক-এক জনের জমির পরিমাণ ২ থেকে ৪ বিঘা। তাঁদের অনেকেই জানিয়েছেন,মৌজায় সেচের ব্যবস্থা হওয়ার পর একই জমিতে তিনবার তো বটেই,চারবার ফসলও ফলানো গিয়েছে। তাঁদের আর দিনমজুরি করতে হচ্ছিল না। সংসারে সচ্ছলতাও আসছিল। কিন্তু এখন সেচ ব্যবস্থা না থাকায় ফের দিনমজুরি করেই সংসার চালাতে হচ্ছে।
সকল চাষিদে’র অভিযোগ,গভীর নলকূপ বিকল হওয়ার ৩বছর ধরে তা চালু দাবিতে কৃষি-সেচ দফতরে দরবার করছি আমরা। ওই দফতর বলছে,নলকূপটির আমূল সংস্কার করার প্রয়োজন। কিন্তু তা আর হচ্ছে না। তৃণমূল নেতারাও সমস্যার সুরাহা করতে পারছেন না। আমরা চাই অবিলম্বে সেচের ব্যবস্থা করা হোক। গভীর নলকূপটি যদি চালু না করা হয়,তবে গুচ্ছ মিনি বসানো হোক।
বীরনোয়াকান্দি গ্রামের মোঃ সোহেল মিয়া জানান,এবছর ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে সেচ দিতে ৩ হাজার লেগেছে। যদি ডিপ টিউবওয়েল থাকত তাহলে ১৫ শত টাকা লাগত। এতে আমাদের অনেক টাকা খরচ হয়। বন্ধ থাকা এই গভীর নলকূপ দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুকশেদুল হক জানান,এটি আমার বিভাগের দায়িত্বে না। তবু বিষয়টি আমার উপজেলা কৃষকের উপকারের স্বার্থে কুলিয়ারচর কৃষি-সেচ দফতরের কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে জেলা কৃষি উবর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন বলে আশ^াস দেন।
কুলিয়ারচর কৃষি-সেচ দফতরের সহকারী প্রকৌশলী মৃঠোফোনে জানিয়েছেন,কটিয়াদীরের গভীর নলকূপটির সম্পর্কে আমার জানা নেই এবং এ পর্যন্ত কেউ কোনকিছু জানায়নি। আমার অফিসের লোক পাঠাব এবং গভীর নলকূপটি কী অবস্থায় রয়েছে,তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।মিয়া মোহাম্মদ ছিদ্দিক
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
তারিখঃ ১১-০২-২০২৩ইং
মোবাঃ ০১৮৩৭৯৭৬৬৯৬