সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটায় উদাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
উদাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতার হোসেন’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হইবার রহমান হবু’র সঞ্চালনায় শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি.এম সেলিম পারভেজ।
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের জন্য কী করেছে এবং বিএনপি-জামায়াত রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে মানুষের সঙ্গে কী আচরণ করেছে সেগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরব। পাশাপাশি আন্দোলনের নামে কেউ যেন সহিংসতা করতে না পারে, জনগণের যানমালের ক্ষতি করতে না পারে, দেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকব। তিনি আরও বলেন, আমরা কারও কর্মসূচিতে বাধা দেব না। কাউকে আঘাত করব না। কিন্তু কেউ যদি জনগণের উপর আঘাত করে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেটা প্রতিহতের চেষ্টা করব।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিএনপি-জামায়াত ফাঁকা মাঠ পেলে আবারও নৈরাজ্য ও সহিংসতা করতে পারে। ফলে জনগণের শান্তি এবং জানমালের নিরাপত্তায় তারা মাঠে থাকবেন। এ ধরনের কর্মসূচি নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। তবে এগুলো তাদের পালটাপালটি কর্মসূচি নয় বলেও দাবি আওয়ামী লীগ নেতাদের।
এরপরে, দুপুর ১২টায় কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে এমইউ একাডেমি মাঠে কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম সরকার’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা শালু’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি.এম সেলিম পারভেজ।
উক্ত শান্তি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক রাসেল বিন ওয়েদ ফিরোজ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন মিয়া, উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি লিটন মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, রাজ্জাক মিয়া সহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।