নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষে ৪০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। দেশটির উত্তরাঞ্চলের কাতসিনা রাজ্যে এ ঘটনা ঘটেছে।দেশটিতে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি সংসদীয় ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ভয়াবহ এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো।
শুক্রবার কাতসিনা রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র গাম্বো ইসা বলেন, একটি সশস্ত্র সংগঠন গ্রামে হামলা চালায়। স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে এ সময় তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতেই নিহত হন ৪০ জন।
তিনি আরও বলেন, যৌথভাবে সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
নিরাপত্তাবিষয়ক দুটি সূত্র জানিয়েছে, কাতসিনায় সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ৫০। শুক্রবার মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। কাতসিনা হলো দেশটির উত্তরের রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রাজ্য। এ অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। প্রায় লোকজনকে অপহরণ করে আটকে রেখে চাঁদাও দাবি করে তারা।
আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে নির্বাচন হওয়ার কথা। এর মাঝে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশটির সাধারণ ভোটাররা। দেশটিতে গত ৮ বছর ধরে সাবেক সেনাপ্রধান মুহাম্মদ বুহারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আছেন।
কাতসিনার নিরাপত্তাবিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা ইব্রাহিম আহমেদ বলেছেন, স্থানীয়দের নিজ হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার ব্যাপারে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল।
প্রতিবেশী দেশ মালি ও বুরকিনা ফাসোর মতো নাইজেরিয়াও ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদা ও আইএসের নিয়মিত টার্গেটে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
২০১২ ও ২০১৩ সালের পর থেকে আফ্রিকার বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো। এরপর থেকেই সেখানকার সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। গ্রামগুলোতে অভিযান চালিয়ে অপহরণ, গরু চুরি ও ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া প্রায়ই পশ্চিমা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
সূত্রঃ আলজাজিরার