মোঃ মহিবুল ইসলাম বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ
বরগুনা জেলার পাথরঘাটার কাঁঠালতলী ইউনিয়ণের দক্ষিণ তালুকের চরদুয়ানী নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও গনিত শিক্ষক কে মারধর করে পরবর্তীতে তালাবদ্ধ করে রাখার প্রতিবাদে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ শিক্ষকদের ক্লাস বর্জনসহ মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এতে ছাত্রছাত্রীরা ঘোষনা করে যতক্ষণ পর্যন্ত বখাটে নিয়াজ মোর্শেদসহ গং দের বিচার করা না হবে ততক্ষনে আমরা ক্লাসে ফিরে যাবনা।
উল্লেখ যে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাগিনা এলাকার বখাটে নামে পরিচিত নিয়াজ মোরশেদ তার নাম ভাঙ্গিয়ে মাদ্রাসার ক্লাস চলাকালিন সময় ক্লাসে ডুকে ছাত্র ছাত্রীদের ভিডিও ধারণ করে মাদ্রাসার বিষয় বিভিন্ন প্রশ্ন করে ছাত্র-ছাত্রীদের বিরক্ত করতে থাকে এবিষয় গনিত শিক্ষক প্রতিবাদ করলে মাদ্রসার বিভিন্ন কাজ ও পুরাতনসহ অনিয়ম এর কথা বলে তার সঙ্গে থাকা স্থানীয় কিছু বখাটে ছেলেদের নিয়ে দুই শিক্ষকের হামলা চালায়, একপর্যায়ে তাদের লাইব্রেরীতে সুপার ও গনিত শিক্ষক কে রুমের ভিতর আটকে রেখে তালাবদ্ধ করে রাখে পরে শিক্ষকরান৯৯৯ নাম্বারে কল করলে পাথরঘাটা থানা থেকে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ঐ মাদ্রাসার বিপরীতে নিয়াজ মোর্শেদ এর তার নিজের পরিচালিত কিন্ডার গার্ডেন রয়েছে, মাদ্রাসার ঠিক ২০০ গজ দ্রুরে অনুমোদোনবিহীন এম.কে কেজি মাদ্রাসায় ছাত্র ছাত্রী বাগিয়ে নেয়া।সরকারি বিধি মোতাবেক সরকারি এম.পিও ভুক্ত কিবাং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এরিয়ায় কোন কেজি করতে পারে না।
সে তার মামা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফা কবিরের নাম ভাগিঙ্গে অবৈধ্যভাবে কেজি মাদ্রাসা পরিচালনা করে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে ক্ষতি করে ঘটনার সূত্রপাত, ৩০শে জানুয়ারি রোজ সোমবার বিকাল ৩ টার দিকে দক্ষিণ তালুকের চরদুয়ানী নেছারিয়া সরকারি এম.পিও ভুক্ত দাখিল মাদ্রাসার সুপার,নতুন এন.টি.আর.সি থেকে নিয়োগকৃত ইংরেজি শিক্ষক রাসেল খান ও অফিস সহকারী শহীদুল ইসলাম সহ প্রতিষ্ঠাতা সভাপ্রতি আব্দুর রাজ্জাক অফিসে অবস্থান করে।হঠাৎ এলাকার বকাটে নামে পরিচিত নিয়াজ মোরশেদ ও তার দল বল নিয়ে অফিসে এসে ভাংচুর ও শিক্ষকদের মারধর করে অবরুদ্ধ করে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার হুমকি দেয়।শিক্ষকরা নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ এর সহায়তায় পুলিশ উদ্ধার করে।এ বিষয় শিক্ষা প্রশাসনের ব্যাপক নজরে আসে।উল্লেক থাকে যে তার দলের বকাটে ছেলেরা ছাত্রীদের নানা ভাবে ইভটিজিং করে আসছিল।যাতে করে উক্ত মাদ্রাসায় ছাত্রীরা ভর্তি না হয়ে তার নিজ প্রতিষ্ঠানে চলে আসে।
সে বার বার এম.পি.ও ভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র-ছাত্রী সংগ্রহ করতে নিষেদ করে।কিন্তু সরকারি প্রজ্ঞাপন মোতাবেক করোনা পরে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী বাড়ানোর তাগিদ দেয়। এতে করে তার নিজে অবৈধ কেজি মাদ্রাসা থেকে অনেক ছাত্র সরকারি মাদ্রাসায় চলে আসে এবং তার ব্যবসায় ধস নামে। যার জেড় ধরে সে বরগুনা জেলার পাথরঘাটার কাঁঠালতলীতে দক্ষিণ তালুকের চরদুয়ানী নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষকদের মারধর করে এক পর্যায়ে পুলিশ এসে শিক্ষকদের উদ্ধার ও নিয়াজ মোর্শেদ কে আটক করে পাথরঘাটা থানায় নিয়ে যায় পরে রাতে উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির বিচারের আশ্বাস দিলে মধ্যস্থতায় রাতে নিয়াজ কে থানা থেকে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু রাত পার ও দিন গড়িয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি।
আজ ৩১ শে জানুয়ারি রোজ মঙ্গলবার বেরা ১১ টার দিকে অভিভাবক,ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় বেলা ১১ টায় মানববন্ধন করে প্রশাসনের সাহায্য কামনা করে এবং উক্ত মাদ্রাসার পাশে নিয়াজ মোশেদের এম.কে মাদ্রাসা বন্ধের দাবী জানায়।