জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:
দীর্ঘ ১৬ বছর পর আতাউর রহমান বুলবুল (৫০) এর সন্ধান পেয়েছে তার পরিবারের লোকজন। তবে জীবিত নয় মৃত অবস্থায়। সে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে ফেনী শহরে বসবাস করত। নিখোঁজ বুলবুল ক্ষেতলাল উপজেলার গাংগাইরের আবদুস সাত্তার মাস্টারের ছেলে। বুলবুলের ভাই রেজাউল করিম রিপন জানিয়েছে, বুলবুল ১৯৮৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করার পর মানসিক সমস্যাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। ২০০৬ সালে বাবার মৃত্যুর পর হঠাৎ বুলবুল নিখোঁজ হয়। প্রায় ১০ বছর পর আমরা বুলবুল ফেনীতে থাকার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে নিয়ে আসতে যাই। কিন্তু তাকে অনেক জোরজবরদস্তি করেও আনতে পারিনি। এরপর থেকে যাতায়াতের দূরত্বের কারণে বছরের পর বছর তার খবরাখবর আমরা আর পাইনি। ফেনী সদরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়’র বুলবুলের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিলে তার খবর পাই। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে অজ্ঞাত নামা হিসেবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৫ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সে মারা যায়। শনিবার সেখান থেকে তার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসি। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়’র এর সাধারণ সম্পাদক সোহেল মোবাইল ফোনে জানায়, দীর্ঘ ১৬ বছর ফেনী শহরে তার চলাফেরা হলেও কখনও কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত করেননি বুলবুল। নিজের মতো করেই থাকতেন। রাস্তা-ঘাট, রেলপথ, বাসস্ট্যান্ডসহ ফেনী শহরের সব জায়গায় ছিল বুলবুলের পদচারণা খাওয়া-দাওয়ায় অনাগ্রহী এ ব্যক্তির সাথে দেখা হয়নি এমন ব্যক্তি ফেনীর বাসিন্দাদের মাঝে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফেনীর লোকজন তাকে বিভিন্ন ছদ্য নামে ডাকত কেউ বলতেন ফেনীর মেয়র, কেউ বলতেন ফেনীর রাষ্ট্রপতি। বুলবুল বেশ কিছু দিন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে অজ্ঞাত হিসেবে চিকিৎসাধীন থেকে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে মারা যান। বুলবুলের ছোট ভাই লেবু মেম্বার জানান, শনিবারে ফেনী থেকে তার লাশ নিয়ে এসে আজ রবিবার বেলা ১১ টায় আমাদের গাংগাইর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মা,বাবার কবরের পাঁশেই দাফন করা হয়েছে।