শুভ তংচংগ্যা, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি: বান্দরবান জেলায় গত ১৭ অষ্টোবর থেকে থানচি, রুমা, রোয়াংছড়ি এই তিন উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গত ১১ জানুয়ারি (বুধবার) থানচি ও রোয়াংছড়ি থেকে র্যাবের অভিযানে আটক ৫ জঙ্গি তথ্য দিয়েছে, থানচির মিয়ানমার সীমান্তবর্তী রেমাক্রী প্রাংশা ইউনিয়নে একটি পাহাড়ি ঝিরির কাছে কুমিল্লার নুরুল ইসলামের ছেলে আল আমিন নামের এক জঙ্গিকে কবর দেওয়া হয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর অসুস্থ হয়ে ওই জঙ্গি কেএনএফ-এর জর্ডান ক্যাম্পে মারা গেলে তাকে পাহাড়ি ঝিরির পাশে কবর দেওয়া হয়, সে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ার সদস্য।
কয়েক দিন আগে রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলা থেকে গ্রেফতারকৃত পাঁচ জঙ্গির কাছ থেকে রিমান্ডে পাওয়া তথ্যের সূত্র ধরে ‘খুনের’ এ তথ্য পাওয়া গেলে গত শুক্রবার দুপুরে পুলিশ ও র্যাবের একটি দল দুই জঙ্গিসহ রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গম লুয়ংমুয়াল পাড়া এলাকার পাহাড়ে যান। তারা সেখানে নিহত জঙ্গির কবরও শনাক্ত করে।
জঙ্গি কুমিল্লার সালেহ আহমদ ও শিথিলকে সঙ্গে নিয়ে কবরে লাশের সন্ধানে অভিযানে নামে র্যাব। কবর খোঁড়ার সময় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব ও সেনা সদস্যসহ মোট বিশজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন, লাশ না পেয়ে তারা ফিরে আসে।
এ বিষয়ে র্যাবের পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, এক জঙ্গির লাশ দুর্গম এলাকায় কবর দেওয়া হয়েছে এ তথ্যের ভিত্তিতেই সেখানে অভিযান চালানো হলেও কবর থেকে কে বা কারা লাশটি নিয়ে গেছে তা স্পষ্ট নয়। অভিযানের খবর পাওয়ার আগেই হয়তো লাশ কেউ নিয়ে গেছে।