স্পোর্টস ডেস্ক:  ফরচুন বরিশাল ও স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ম্যাচ দিয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে বিপিএলের দ্বিতীয় পর্ব। দিনের প্রথম ম্যাচে পরাজয় দিয়ে শুরু করেছে স্বাগতিকরা। বরিশালের দেওয়া ২০৩ রানের জবাবে খেলতে নেমে চট্টগ্রাম ১৭৬ রানে থেমেছে। শেষ দিকে জিয়াউর রহমানের তাণ্ডব দর্শকদের বিনোদন দিলেও বরিশালের জয়ের পথে সেটি বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। ফলে ২৭ রানের হার দিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু হলো স্বাগতিকদের।

 

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এনামুল হক-ইব্রাহিম জাদরান-ইফতেখার আহমেদের ব্যাটিংয়ে ২০২ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। জবাবে খেলতে নেমে চট্টগ্রামের দুই ওপেনার দারুণ শুরু করে। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটের বিনিময়ে স্বাগতিকরা যোগ করে ৫৭ রান। দ্বিতীয় উইকেটে আইরিশ ব্যাটার ম্যাক্স ও’ডাউড ও উন্মুক্ত চাঁদ মিলে ৩৩ রানের জুটি গড়েন। এরপরই ছন্দপতন ঘটে ইনিংসে। ৯ রানের মধ্যে ও’ডাউড (২৯) ও চাঁদ (১৬) বিদায় নিয়েছেন। আফিফও খুব বেশি অবদান রাখতে পারেননি। ২১ বলে ২৮ রান করে আউট হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

 

 

উন্মুক্ত চাঁদের আউটের পর ক্রিজে নামেন জিয়াউর রহমান। এদিন তার ব্যাট যেন হয়ে উঠে ধারালো তলোয়ার! বরিশালের বোলারদের ওপর শুরু থেকেই চড়াও হন তিনি। ২৫ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৭ রানে অপরাজিত থেকেছেন। অধিনায়ক শুভাগত ৬ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। জিয়াউরের অতিমানবীয় ইনিংসের পরও চট্টগ্রাম শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করেছে।

 

 

বরিশালের বোলারদের মধ্যে সাকিব আল হাসান, খালেদ আহমেদ, কামরুল ইসলাম ও করিম জানাত একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

 

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করেছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন ফরচুন বরিশাল। এদিন মেহেদী হাসান মিরাজকে প্রমোশন দিয়ে ওপেনিংয়ে পাঠানো হয়েছিল। দুইজন মিলে শুরুটা ভালোও করেছিলেন। ৩ ওভারে ৩৩ রান তোলার পর ওপেনিং জুটি ভাঙে মিরাজের বিদায়ে। ১২ বলে ২৪ রান করে তাইজুল ইসলামের বলে জিয়াউর রহমানের হাতে তালুবন্দি হন তিনি। সাকিব তিন নম্বরে এসে মৃত্যুঞ্জয়কে টানা দুই চার মেরে পরের বলেই বোল্ড হয়েছেন। মিরাজ-সাকিব আউট হয়ে গেলেও পাওয়ার প্লে থেকে ৫৯ রান আসে বরিশালের।

 

 

আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয় ২১ বলে ৩০ রানের বেশি করতে পারেননি। তার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ইবরাহিম জাদরান মিলে বরিশালের ইনিংসটাকে টেনে নিয়েছেন। ৩৩ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেছেন জাদরান। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকেও আসে ১৭ বলে ২৫ রান। তাদের বিদায়ের পর বরিশালের হয়ে সবচেয়ে ইমপ্যাক্ট ইনিংস খেলেছেন ইফতিখার আহমেদ। ইনিংসের শেষ দুই বলে চার-ছয় মেরে দলীয় স্কোর দুইশ পার করার পাশাপাশি বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরিও পূরণ করেছেন। মাত্র ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি ছুঁয়ে ২৬ বলে ৫ চার ও ৬ ছয়ে ৫৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে সাকিবের দল ২০২ রান সংগ্রহ করেছে।

 

রাহি ৪৯ রান খরচ করে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ৫৩ রান দেন মৃত্যুঞ্জয়, নেন ১টি উইকেট।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version