শেখ জহিরুল ইসলাম নান্দাইল (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ জেলা নান্দাইল উপজেলায় গত কাল (১১ জানুয়ারি) ভারত থেকে চোরাই পথে ক্রয় করা প্রায় ১০ লাখ ২৯ হাজার টাকা মূল্যের শাড়ি, থ্রি-পিস সহ দুই যুবককে আটক করেছে নান্দাইল মডেল থানার পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ টু কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক নান্দাইল পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে কাভার্ড ভ্যান তল্লাশি চালিয়ে ১.২৯৫ পিস বিভিন্ন রং বেরঙের ভারতীয় শাড়ি এবং ২২৭ টি থ্রি পিস সহ একটি কাভার্ড ভ্যান যার রেজিস্ট্রেশন নং ঢাকা মেট্রো-ন-২৩-২৭৩৭ জব্দ করা হয়েছে।
আটককৃত কাভার্ড ভ্যান চালক নেত্রকোনা জেলা কলমাকান্দা উপজেলার শিবপুর গ্ৰামের আব্দুল কাদের পুত্র মোঃ আব্দুস সামাদ(২৫) ও কাভার্ড ভ্যানের হেলপার একোই গ্ৰামের মোঃ আলম মিয়া পুত্র মোঃ
সেলিম মিয়া (২১) দুই জনকে আটক করা হয়।
নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে জানতে পারি একটি কভার ভ্যান করে অবৈধ মালামাল নান্দাইল উপজেলা সদর হয়ে ময়মনসিংহের দিকে যাবে। এ খবর পেয়ে আমার সঙ্গীয় নান্দাইল মডেল থানার ওসি তদন্ত ওবায়দুর রহমান, এস আই আব্দুল কাদের সহ অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ মহাসরকের নান্দাইল মডেল থানার পাশবর্তী ব্রীজের উপরে সড়কে অভিযান পরিচালনা করে এ মালা মাল আটক করতে সক্ষম হই।
চালক সামাদ জানান তার ট্রাকে শাড়ি ও থিফিস আছে বৈধ কিনা জানি না। তাড়াইল থেকে গাড়ী লোড করেছি। ময়মনসিংহের ত্রিশালে এবং ভালুকায় নিয়া যাব আর যার কাছে নিয়া যাব সেখানে গেলে জানতে পারবো। তাছারা আমার কাছে এ মালামালের মালিকের নাম্বার আছে। সিরাজগঞ্জ জেলার বালাহাটা গ্রামের মালামালের মালিক দাবীদার লাভলু মিয়া ফোনে বলেন, কভার ভ্যানটিতে আমার ৩৯ প্যাডি শাড়ি, থ্রিপিচ ছিল। দুই প্যাডি তাড়াইল নামছে বাকী ৩৭ প্যাডি কভার ভ্যানে আছে। ওসি (তদন্ত)ওবায়দুর রহমান ফোনে লাভলুকে কাগজপত্র দেখিয়ে মালামাল নিয়ে যেতে বললে লাভলু কাগজপত্র আছে বলে কোন সদ উত্তর দিতে পারেনি।
অবশেষে মধ্যরাতে এ এস পি গৌরিপুর সার্কেল সুমন মিয়ার নেতৃত্বে ও গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ,সহ সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে
কভার ভ্যানের মালামাল গণনা করা হয়। গভীর রাত পযর্ন্ত গণনা শেষে জব্দ তালিকায় মালামাল লিপিবদ্ধ করা হয়।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাভলু ও গাড়ির চালক সহ হেলপারের বিরুদ্ধে নান্দাইল মডেল থানায় মামলা করার প্রস্ততি চলছিল।