ডেস্ক রিপোর্ট:  ‘স্যার সৎ মানুষ, তার নেতৃত্বে ওয়াসা আজ স্বাবলম্বী-টেকসই হয়েছে’ওয়াসাকে নিয়ে নেতিবাচক ও উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবেদন করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ওয়াসার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশিত হ‌য়ে‌ছে, তা মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঘণ্টাব্যাপী কর্মবিরতি দিয়ে ওয়াসা ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।

এ সময় ওয়াসার ‌কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বলেন, ‘সম্প্রতি ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে প্রকাশিত নিউজ ছিল তার ব্যক্তিগত। কিন্তু ওয়াসাকে নিয়ে নেতিবাচক ও উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবেদনের প্রতিবাদস্বরূপ ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে আমরা দাঁড়িয়েছি প্রতিবাদ সমাবেশে।’

‘স্যার সৎ মানুষ, তার নেতৃত্বে ওয়াসা আজ স্বাবলম্বী-টেকসই হয়েছে’
প্রতিবাদ সমাবেশে তারা জানান, গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় একটি দৈনিকে ‘ওয়াসার তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি!’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ প্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসার সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় এবং প্রকাশিত সংবাদটি ভিত্তিহীন, মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন তারা। তারা বলেন, ‘যুক্তরা‌ষ্ট্রের মতো দেশে ১৪টা বা‌ড়ি কেনা একজনের পক্ষে সম্ভব?’

এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ঢাকা ওয়াসাকে ধ্বংসের লক্ষ্যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তারা বলেন, ‘পানি-সংকট ঋণগ্রস্ত ও আর্থিক অনটনে জর্জরিত ঢাকা ওয়াসা তার নেতৃত্বে আজ স্বাবলম্বী ও টেকসই ঢাকা ওয়াসায় রূপান্তরিত হয়েছে। এর সবই সম্ভব হয়েছে প্রকৌশলী তাকসিম এ খান স্যারের নেতৃত্বের বদৌলতে। স্যার সৎ মানুষ। তার নাম জড়িয়ে কল্পিত গোয়েন্দা কাহিনির নাম ব্যবহার করা নীতি-নৈতিকতাবিবর্জিত। এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য ঢাকা ওয়াসার সব কর্মকর্তা-কর্মচারী গণমাধ্যমকে সবিনয়ে অনুরোধ করছে।’

‘স্যার সৎ মানুষ, তার নেতৃত্বে ওয়াসা আজ স্বাবলম্বী-টেকসই হয়েছে’
ওয়াসার পক্ষ থেকে কোনও ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা ওয়াসার ডিএমডি এ কে এম শহিদ উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্যদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version