শাকিল বাবু, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘নজরুল অধ্যয়নের বৈশ্বিক বাস্তবতা’ শীর্ষক দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (০৮ জানুয়ারি) সম্মেলনে দেশ ও বিদেশের প্রখ্যাত নজরুল গবেষক, শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ ভার্চুয়াল কনফারেন্স কক্ষে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত নজরুল গবেষক ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাচাচুসেটসের সাবেক উপাচার্য (শিক্ষা) এমিরিটাস প্রফেসর ড. উইন্সটন ই. ল্যাংলি, যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্নাড কলেজের প্রফেসর ড. র্যাচেল এফ. ম্যাকডরমেট, প্রখ্যাত ক্যান্সার গবেষক ও নজরুল গবেষক ড. গুলশান আরা ও নজরুল সঙ্গীত শিল্পী কাজী বেলাল শাহজাহানসহ অন্যরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কাজী নজরুল ইসলামের ‘অঞ্জলি লহ মোর’ গানের সাথে নৃত্য পরিবেশনা করা হয়। এরপর সম্মানিত অতিথিদের গলায় উত্তরীয়, হাতে স্মারক ও ক্রেস্ট তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, “নজরুল খুব শৈশবে এই ত্রিশালে এসেছিলেন। তিনি ভারত থেকে প্রথমবার বাংলাদেশের ত্রিশালে আগমন করেন। এই আগমনের একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। নজরুলের নামে আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানকার প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নজরুলকে একজন আদর্শ ধরে তাদের জীবনধারণ করেন। প্রতিটি বিভাগে ১০০ নম্বরের কোর্সের মধ্যদিয়ে নজরুলকে অধ্যয়ন করা হয়।”
বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতে নজরুলের অবদানের কথা স্মরণ করে উপাচার্য বলেন, “নজরুল বাংলাদেশের জাতীয় কবি। ব্রিটিশ শাসনামলে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ছিলেন। কবিতা, গান, সাংবাদিকতার মধ্যদিয়ে ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে তিনি লিখে গেছেন। সবধরনের অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন বজ্রকন্ঠ।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান প্রশাসন এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের একটি স্মার্ট ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ‘শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন’-এই মোটো নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নজরুলকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের এমওইউ স্বাক্ষরিত হচ্ছে। আমি এ বিষয়ে আরো গতিশীলতার জন্য সকলের সহযোগিতা চাই।
উল্লৈখ্য, প্রথম অধিবেশন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ প্রদত্ত বৃত্তি প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ১৬ জন শিক্ষার্থী এবার বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়েছেন।