শেখ জহিরুল ইসলামঃ নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি।
ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার ০৫ নং ওয়ার্ডের পাছপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বাবুল মিয়ার স্ত্রী বৃষ্টি বেগমের প্রসব ব্যাথায় নিয়ে (০৭ জানুয়ারি) শনিবার সকাল ০৯:০০ ঘটিকার সময় নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাঃ ও নার্সদের অসহযোগিতা অসদাচরণ সত্বেও রুগিনীর লোকজন কাঙ্ক্ষিত সেবার আশায় দুপুর ১:০০ পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। পরবর্তীতে তাদের অসহযোগিতা এবং অপারগতা প্রকাশের দরুণ শেষতক রুগিনীর লোকজন রুগিনীকে নিয়ে সিএনজি যোগে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। পথিমধ্যে হেমগঞ্জ (ঝালুয়া) বাজারের নিকটবর্তী ভাটিসাভার কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে পৌছালে রুগিনীর প্রসব ব্যাথা প্রকট হওয়ায় তারা কমিউনিটি ক্লিনিকে আশ্রয় নেয়। কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি আসমা খাতুন এবং স্থানীয় এক ধাত্রীর সহযোগিতায় রুগিনী এক ছেলে সন্তান প্রসব করেন। এখানে উল্লেখ্য যে, সিএইচসিপি আসমা খাতুনের সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে যে,, প্রসবকালীন সময়ে রুগিনীর কোন শারীরিক কিংবা প্রসবকালীন জটিলতা পরিলক্ষিত হয়নি বরং প্রসব ও প্রসব পরবর্তী অবস্থা ছিল বেশ স্বাভাবিক। রুগিনীর স্বামীর সাথে কথা বলে নার্সদের অসহযোগিতা ও অসদাচরণ এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগে অনীহা এবং মা ও নবজাতকের সুস্থতার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। ইতোপূর্বে নার্সদের এহেন আচরণ এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগে অনীহার বিষয়ে ভিন্ন-ভিন্ন মাধ্যমে মতামত প্রকাশিত হয়েছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ঘটনাটির তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।