মশিউর রহমান, জামালপুর: কৃষি এ দেশের অর্থনীতির এক অতি গুরুত্বপূর্ণ খাত। মুল কথা কৃষি এ দেশের জনমানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রদানের প্রধানতম এবং অন্যতম উৎস। এখনও এ দেশের বিপুল জনসংখ্যার কর্মসংস্থানও হয়ে থাকে কৃষিকে অবলম্বন করেই। ফলে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, জীবনযাত্রায় মানোন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে কৃষিক্ষেত্রে অধিকতর মনোযোগ দিয়েছে বর্তমান সরকার।
ইতি মধ্যে সরকার উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষন প্রকল্পের আওতায় বেশ কিছু উপজেলায় ডাবল কেবিন পিকাপ প্রদান করায় কৃষি সেবায় আরো গতিশীলতা এনেছে।
কিন্তু জামালপুরের জেলার সবচেয়ে বৃহৎ ও কৃষি প্রধান উপজেলা সরিষাবাড়ী। ২৬৩.৫০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ উপজেলায় আবাদ উপযোগি কৃষি জমি রয়েছে ৪৯ হাজার ৭৫২একর। যেখানে তালিকা ভুক্ত কৃষক রয়েছে সর্বমোট ৭৭ হাজার ৮ শত ৫ জন। এ উপজেলায় সারা বছর ধান, পাট, ভুট্রা, আলু, মসারি, খেসারী, বাদামসহ প্রায় সকল প্রকার ফসল উৎপাদন হয়। যার ফলে প্রতিদিনই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে মাঠে বিচরণ করতে হয়
কিন্তু বৃহৎ এ উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তার মাঠ পর্যায় পরিদর্শনের উপযোগী বাহন না থাকায় অধিকাংশ কৃষক কৃষি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমার অফিসে দীর্ঘদিনের দুটি পুরনো মটর সাইকেল থাকলেও সেগুলা চালানোর অনুপোযোগি। মেরামত করতেই সময় চলে যায়।
আর এ বৃহৎ উপজেলায় এতো সংখ্যক কৃষকের পাশাপাশি দেশের সর্ববৃহৎ কারখানা তারাকান্দি যমুনা সার কারখানার তালিকা ভুক্ত ৪৪ টি ডিলার এবং সার/ বীজ ও কীটনাশক দোকান নিয়মিত পরিদশর্ষন করতে হয়। যা মটর সাইকেল নিয়ে পরিদর্শনও সহজলভ্য নয়। তাই এ উপজেলায় কৃষি সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্রুতগামী ডাবল কেবিন একটি পিকাপ অতিব প্রয়োজন।