মিয়া মোহাম্মদ ছিদ্দিক, কটিয়াদী(কিশোরগঞ্জ): কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ঘন কুয়াশার দেয়ালে কয়েক হাত দূরের দৃশ্য দেখা দুরূহ হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড শীতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।গত ৪ দিন ধরে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে পুরো ঘাটাইল জুরে। দুপুর গড়িয়ে গেলেও কটিয়াদীতে কোথাও সূর্যের দেখা মেলেনি।
এদিকে, শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এবং হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
মধ্যরাত থেকে প্রকৃতি ঢেকে রেখেছে ঘন কুয়াশায়। সড়কে গাড়ি চলাচল চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে থেমে নেই কর্মজীবী মানুষের চলাচল। জীবিকার তাগিদে তারা নির্ধারিত সময়েই বেরিয়ে পড়েছেন রাস্তায়। একটু উত্তাপ পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে নিম্নআয়ের মানুষেরা।
গাড়িচালকরা জানা যায়, সড়কে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা অনেকাংশে কমে এসেছে। এ কারণে সামনের পথচারী ও বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন চোখে দেখা যাচ্ছে না। এর ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। এ অবস্থায় ফগলাইট ব্যবহার ও গতিসীমা সীমিত রেখে বেশি সতর্কতা অবলম্বন করে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।
রিকশা চালক মোঃ ইব্রাহিম একাত্তর পোষ্টকে জানান, ঘন কুয়াশা আর শীতে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। তারপরও জীবনের তাগিদে রাস্তায় বের হতে হচ্ছে। কারণ এটাই আমাদের আয়ের উৎস।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরীজীবি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শীতল বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশা থাকার কারণে প্রচণ্ড শীত লাগছে। সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের অনুভব হচ্ছে অনেক বেশি। তারপরও চাকরির কারণে ঘর থেকে বের হতে হয়েছে।
কটিয়াদী সিএন্ডবি রোড এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী আঃ রহমান বলেন, আজকে সকালে কটিয়াদীরের আকাশ প্রচণ্ড কুয়াশাচ্ছন্ন সামনের কিছু দেখা যাচ্ছে না। সঙ্গে প্রচণ্ড শীত আর হালকা বাতাস। আমার জীবনে কটিয়াদীতে এতো কুয়াশা আর শীত দেখিনি। তবে শীতের প্রকোপ বাড়ায় আমাদের শীতের পোশাকের বিক্রি বেড়েছে।