জোবায়ের হোসেন রিহান, ফেনী: ফেনীর পরশুরামের কালিকাপুর বাসারত উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা চেষ্টা করেছেন মোঃ ইরফান নিভীর (১৫) নামের এক শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের নিজ কালিকাপুর গ্রামে নুর আহমদ মাস্টারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
তাঁর সহপাঠীরা ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
সে বর্তমানে ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্কুল শিক্ষার্থীর পরিবার জানান ইরফান একাধিক বিষয় ফেল করায় স্কুল কর্তৃপক্ষ থাকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে সুযোগ দিতে অনিহা প্রকাশ করেন, এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সে শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন।
শিক্ষার্থীরা মা খালেদা আক্তার জানান ইরফানকে ফরম পূরণের সুযোগ দিতে তার খালু আব্দুল মতিন সোমবার রাতে অনুরোধ করেন কিন্তু স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইরফানকে ফরম পূরণ করতে দিবে না বলে সাব জানিয়ে দেন।
এতে ইরফান মানসিক বির্ধস্ত হয়ে মঙ্গলবার সকালে নুর আহমেদ মাস্টারের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে সেখানে সে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
কালিকাপুর বাশারাত উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন জানান ইরফান নীভির ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৯ বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। প্রধান শিক্ষক জানান শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক তাকে ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়া হয়নি। ফরম পুরন করতে না পেরে সে এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক আরো জানান স্কুলের ওই শিক্ষার্থী সহ আরো ১৩ জন শিক্ষার্থী ফেল করায় তাদের কে দ্বিতীয়বারও ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের পরীক্ষা নিয়ে যাচাই করা হয়েছে। সে পরীক্ষায় তারা আবারও অকৃতকার্য হয় তাদেরকে ফরম পূরণে করতে দেওয়া হয়নি।
অপরদিকে মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানিয় এলাকার বাসিন্দা মহি উদ্দিন ছুট্টু জানান স্থানীয় এক শিক্ষার্থীকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে না দেওয়ায় মঙ্গলবার সকালে সে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আর সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম পরে ফেনী হাসপাতালে নিয়ে যায়।
অপরদিকে ওই শিক্ষার্থীর মা জানান মঙ্গলবার বিকেলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইলিয়াস হোসেন সহ চারজন শিক্ষক হাসপাতালে এসে নিবিরকে ফরম পূরণ করতে দেয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান।
কালিকাপুর বাসারাত উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয় নানা অভিযোগ কয়েকজন শিক্ষার্থীর নাম প্রকাশ না করা সর্তে বলেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক নুর আহমদ, বিপ্লব, ইমরান হোসেনসহ কয়েকজন শিক্ষক বাড়িতে কোচিং সেন্টার চালু করেছেন।
স্কুলের প্রভাবশালী শিক্ষক নুর আহাম্মদ তার বাড়িতে কোচিং সেন্টার চালু করেছেন। তাদের কাছে পাইভেট পড়তে বাধ্য করেন।
অপরদিকে স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক রতন মাস্টারের ভাতিজা অমিত সাহাকে তিন বিষয় পরীক্ষা নিয়েও ফরম পূরণের সুযোগ দিয়েছেন।
এসব অভিযোগ কালিকাপুর বাসারাত উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঠিক নয় বলে জানান।