রিপন মিয়া, ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে অনিয়মের অভিযোগে বন্ধ ঘোষিত জাতীয় সংসদের সংসদীয় আসন-৩৩, গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এবারই প্রথম ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে আসনটিতে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।
মুই ভোট দিছম বাহে। মেশিনত ভোট এত সোজা মুই আগে জানম নাই। মেশিন দেখি ভয় নাগলেও সহজে ভোট দিছম। এটা গাইবান্ধা -৫ আসনের উপনির্বাচনে সাঘাটা উপজেলার কচুয়া হাট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আশা বৃদ্ধা আছিরন বেওয়ার বক্তব্য।
সরেজমিনে, গাইবান্ধা- ৫ আসনের (ফুলছড়ি-সাঘাটা) বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত ভোট কেন্দ্র গুলো ঘুরে দেখা যায়, কনকনে শীতের মধ্যে অনেকেই সকাল বেলা ভোট দিতে ছুটে এসেছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে। সকাল ৮.৩০ মিনিট থেকে শুরু হওয়া এই ভোটে সকালের দিকে সাঘাটা উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্র কচুয়া হাট বন্দর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয়, কুকড়া হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলছড়ি উপজেলার গলাকাটি দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়, নাপিতের হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাঠুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরও বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে কোথাও দীর্ঘ সারির ভোটারের লাইন চোখে পড়েনি। কেন্দ্র গুলোর সামনে ২ হতে ৩ জন করে ভোটারের উপস্থিতি চোখে পড়ে। তবে থেমে থেমে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার আশার দৃশ্য লক্ষ করা যায়।
দুপুরের পরে এই সংসদীয় আসনের আকাশে মেঘ কাটিয়ে সূর্যের দেখা মেলে, সাথে ভোটার উপস্থিতি সকালের চাইতে কিছুটা বাড়ছে বলেও বিভিন্ন কেন্দ্রে থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়। তবে সেই বাড়ানো ভোটারের সংখ্যাও খুব বেশি নয়।
দুপুরের পরে সরেজমিনে ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র গুলো পরিদর্শনের সময় দেখা যায় প্রায় অনেক কেন্দ্রেই ফাকা। ভোটারের উপস্থিতি না থাকায় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা কেন্দ্রের সামনে হাটা চলা করছেন।
এদিকে বিকাল ৪ ঘটিকার পরে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য সুত্রে জানা যায়, অনেক কেন্দ্রেই ভোটারের উপস্থিতি আশানুরূপ নয়। এভাবে ভোটারের উপস্থিতি থাকলে শেষ পর্যন্ত ভোটের পার্সেন্ট কত হবে তা ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।
সারাদিন সরেজমিনে ভোট কেন্দ্র গুলো পরিদর্শনের সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ারমত। কিছুক্ষন পর পর নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি টহল দিতে দেখা যায়।
তবে ভোটারের উপস্থিতি কম থাকলেও কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার কোন খবর পাওয়া যায়নি। সকল কেন্দ্রে সুষ্ঠ ভাবে ভোট প্রদান করছে ভোটাররা। তবে বিভিন্ন প্রার্থীর কর্মী সমর্থককে কেন্দ্রের আশেপাশে দেখা মিললেও জয়ের ব্যাপারে কেউ শোনাতে পারেনি আশারবানী।
এদিকে ভোটের শেষ মুহুর্তে ফুলছড়ি উপজেলার এম এ ইউ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় আওয়ামীলীগ প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, সারাদিনের ভোটের পরিবেশে আমি সন্তুষ্ট ও আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।