দেওয়ান রানা মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণা মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী বারঘরিয়া গ্রামের পশ্চিম হাটির সুন্তুষ বাহিনীর আক্রমনে একই পাড়ার ৬ জন আহত হয়েছে। এই ঘটনায় গত ২৭ডিসেম্বর কাজী শামসুজ্জামান চুন্নু বাদী হয়ে মোঃ শরিফুল ইসলাম সুন্তুষ ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোবিন্দশ্রী গলাবাতান হাওরে গত ২৭ ডিসেম্বর বাদীর ভাই মোঃ নান্নু মিয়া লোকজন নিয়ে নিজেদের জমিতে ধান কাটছিলেন। দুপুরবেলা সুন্তুষ তার লোকজন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দা, রামদা, লোহার রড, লাঠি সোঠাসহ দেশীয় অস্রশস্রে সজ্জিত হইয়া নান্নু মিয়ার লোকজনের উপর হামলা চালায়।
এ সময় মোঃ নান্নু মিয়া(৫২), মোঃ আকাশ মিয়া(২৮), মোঃ রাসেল মিয়া(২৩), মোঃ কাশেম মিয়া(৫২), মোঃ রুহুল আমিন(৪২), মোঃ সুমন মিয়া(২৬) গুরুতর আহত হয়। তাদের ডাক-চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে এসে তাদের রক্ষা করে। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
ঐ সময় হাওরে থাকা আনুমানিক ১২০ মণ ধান (আনুমানিক মূল্য ১,৪০,০০০ টাকা) এবং একটি গাভী গরু (আনুমানিক মূল্য ৬৫,০০০ টাকা) সুন্তুষের লোকজন নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে বলে, এ বিষয়ে পুলিশকে জানালে পরবর্তীতে যেখানেই পাবে প্রাণে মেরে ফেলবে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, সুন্তুষ ও তার লোকজন দাঙ্গাবাজ, ঝগড়াটে ও লাঠিয়াল প্রকৃতির।
এ বিষয়ে মোঃ শরিফুল ইসলাম সুন্তুষ জানান, নান্নু মিয়ার লোকজন আমাকে মারতে গেলে আমি প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যাই। কিন্তু আমার বাড়িতে খবর যায়, নান্নু মিয়ার লোকজন আমাকে মেরে ফেলেছে। এই খবর পেয়ে আমার বাড়ির লোকজন হাওরে এসে আমাকে খুঁজে না পাওয়াতে উত্তেজিত হয়ে নান্নু মিয়ার লোকজনকে কিছু মারধর করে। ধান ও গরু নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
মদন থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ তাহিদুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।