মেট্রোরেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছেবলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে আগারগাঁও স্টেশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল বুধবার সকাল ১১টায় মেট্রোরেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অনুষ্ঠানে বিএনপির চার নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত এই চার নেতার মধ্যে রয়েছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও মঈন খান।’
বর্তমান বাস্তবতায় আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তুলনা করলে ঢাকায় মেট্রোরেলের ভাড়া বেশি নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেলে শিক্ষার্থীদের কোনো হাফ ভাড়া থাকবে না। যারা র্যাপিড পাস কিনবেন তারা ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন। তিন ফুটের কম উচ্চতার শিশুরা বাবা-মায়ের সঙ্গে ভ্রমণ করলে ভাড়া ফ্রি।
তিনি জানান, আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ী পর্যন্ত চলবে ট্রেন। মাঝের কোনো স্টেশনে আগামী তিনমাস যাত্রী ওঠানামা করানো হবে না।
প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশার বাতিঘর, সাহসের বর্ণিল ঠিকানা, রূপান্তরের রূপকার। আশা করছি, আগামী বছর ডিসেম্বরে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ এবং ২০২৫ সালে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল অংশের উদ্বোধন করা যাবে।এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা উত্তর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ কিলোমিটার (২১,২৬ কিলোমিটার)। এর ব্যয় প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। মেট্রোরেলের স্টেশন সংখ্যা ১৭টি।
স্টেশনসমূহের মধ্যে রয়েছে- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, মতিঝিল এবং কমলাপুর। ঘণ্টায় ৬০ হাজার ও দৈনিক ৫ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে মেট্রোরেল।
আপাতত ৬ কোচবিশিষ্ট ২৪ সেট চালু থাকবে। তবে ভবিষ্যতে ৮ কোচে উন্নীত করা যাবে। মাঝের চারটি কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৯০ জন, ট্রেইলর কোচের প্রতিটিতে সর্বোচ্চ ৩৭৪ জন যাত্রী পরিবহন করা যাবে।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়