আহমেদুজ্জামান আলম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার): সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমী খ্যাত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর লেকে পর্যটকদের উপচেপড়া ভীড় দেখা গেছে।
শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির সাথে রবিবার বড়দিনের ছুটি যোগ হওয়ায়
দেশ – বিদেশের অনেক পর্যটক পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসেন এ লেকে। প্রকৃতিপ্রেমীরা এই লেকে এসে খুঁজে পান অপার শান্তি। আর মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেন নিঃসর্গের নিস্তব্ধতা, সৌন্দর্য আর ভালোবাসা।
মাধবপুর লেক দেশি-বিদেশি পর্যটকের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি স্থান। ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) মাধবপুর চা বাগানের ১১ নম্বর সেকশনে এই লেকের অবস্থান। চা শ্রমিকরা এটিকে ‘ড্যাম’ বলে অভিহিত করেন। লেকটি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত।মাধবপুর লেকের ঝলমল পানি, ছায়াসুনিবিড় পরিবেশ, শাপলা শালুকের উপস্থিতি পর্যটকদের মনোমগ্ধকর করে তুলে।
চারদিকে সবুজ পাহাড়,পাশাপাশি উঁচু উঁচু টিলা। সমতল চা বাগানে গাছের সারি।মধ্য খানে লেক এ যেন প্রকৃতির নিজ হাতে অঙ্কিত মায়াবী নৈসর্গিক দৃশ্য।
শুক্রবার(২৩ডিসেম্বর)বিকালে ঢাকার মগবাজার থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে ফয়জুল মুনির চৌধুরী ও মমতাজ বেগম দম্পতি,ঝলক চৌধুরী ও শিপ্রা দম্পতি জানান, টানা তিন দিনের ছুটি থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে কমলগঞ্জে বেড়াতে আসেন।
তারা বলেন মাধবপুর লেক অত্যান্ত আকর্ষণীয় একটি জায়গা এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে,সময় পেলে আবারও এখানে আসবো।
এছাড়াও কমলগঞ্জের চা বাগান,লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান,বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ,হামহাম জলপ্রপাত,মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জিতেও পর্যটকদের ভীড় দেখা যায়।
ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান,টানা তিন দিন বন্ধের কারনে, শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভীড়।লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানেতো সার্বক্ষণিক আমাদের টিম আছেই, পাশাপাশি মাধবপুর লেক সহ অন্যান্য স্থানে পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমাদের মোবাইল টিম কাজ করছে।