মাদারীপুরে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতক খুঁজে পেলো নতুন ঠিকানা। সাত লাখ টাকা অফেরতযোগ্য বন্ডে রাজবাড়ীর সরকারি চাকুরীজীবি নিঃসন্তান দম্পতিকে আদালতের মাধ্যমে দত্তক দেয়া হয় নবজাতকটিকে।
জানা গেছে, মাদারীপুরের আদালত পাড়ায় নবজাতক দত্তক নিতে আগ্রহী দম্পতিরা ভীড় করেন। আদালতে একে একে আবেদন পড়ে ১৯ জনের। তিনঘন্টা ধরে চলে শুনানী। বৃহস্পতিবার জেলার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ এজলাসে শুনানী নেন আবেদনকারীদের। প্রথম পর্যায়ে ১৫ জন বাদ পড়লে বাকি ৪ জনের যোগ্যতা অনুসারে আবারো চলে শুনানী। পরে ৭ লাখ টাকা ফেরতযোগ্য জামানতে মরিয়ম আক্তার ও আজিবর হাওলাদার নিঃসন্তান দম্পতিকে নবজাতক দত্তক দেন আদালত। এতে শিশুটিকে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা এই দম্পতি। সাতদিনের মাথায় নবজাতকের নামকরণ করা হবে। আর এখন থেকে পুরো দায়িত্ব পালন করবেন ওই দম্পতি।
মরিয়ম আক্তার বলেন, আমাদের কোন সন্তান নেই। আদালতের সিদ্ধান্ত মতে আমরা মেয়েটিকে মানুষ করে তুলবো। আমাদের স্বামী-স্ত্রী দুজনের যা সম্পতি আছে, সবকিছুই এই মেয়ের নামে লিখে দিবো।
মাদারীপুর আদালতের আইনজীবি রুবিনা আক্তার বলেন, ১৯ জনের মধ্যে আদালত মরিয়ম ও আজিবর দম্পতিকে বেঁছে নিয়েছেন। তাদের যোগ্যতা অনুসারে আদালত এই সিদ্ধান্ত দেন। আশা করছি, মেয়েটি নতুন মা-বাবার পরিচয়ে আলোকিত মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে।
মাদারীপুর জেলার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মু. শহিদুল ইসলাম জানান, মেয়েটির সকল দায়িত্ব ওই দম্পতিকে দিয়েছেন আদালত। পরিচয়হীন শিশুটি নতুন ঠিকানা পাওয়ায় সবাই খুশি।
উল্লেখ্য, গত রোববার মাদারীপুর শহরের বটতলা এলাকার সড়কের পাশ থেকে কম্বলে প্যাঁচানো এক ফুটফুটে নবজাতক উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। মেয়েটি এখনো মাদারীপুর সদর হাসপাতলে চিকিৎসাধীন। এদিকে দত্তক নেয়া এই দম্পতি রাজবাড়ী জেলার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত। ১৩ বছরের সংসার জীবনে তাদের কোনো সন্তান নেই।