১৬ই ডিসেম্বর-২০২২ ইং মহান দিবস উপলক্ষ্যে চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত, কর্মরত ও সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত চায়না বাংলাদেশ স্টুডেন্টস সোসাইটির উদ্দ্যোগে বগুড়ার শহীদ খোকন পার্কে শহীদ মিনারে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের আত্নার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি চীনের বেইজিংয়ে মাস্টার অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরত মোঃ রাসেল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক চীনের আনহুই ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মোঃ রুবায়েত আফসান রাফি এবং তথ্য,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক চীনের বেইবু গলফ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মোঃ রাজিবুল ইসলামের নেতৃত্বে সকালে শহীদ খোকন পার্কে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।
চায়না বাংলাদেশ স্টুডেন্টস সোসাইটির সভাপতি মোঃ রাসেল আহম্মেদ আমাদের বগুড়া প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদদের আত্নত্যাগ ও অজস্র মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা পৃথিবীর বুকে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র পেয়েছি।মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের এই আত্নত্যাগকে কোনো কিছুর বিনিময়ে শোধ করা যাবে না।তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আজকের এই বিজয়ের দিনে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের আত্নার মাগফিরাত কামনা করে চায়না বাংলাদেশ স্টুডেন্টস সোসাইটির পক্ষ থেকে দেশবাসীর নিকট দোয়া চেয়েছেন।
চায়না বাংলাদেশ স্টুডেন্টস সোসাইটির তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক চীনের বেইবু গলফ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাবেক শিক্ষার্থী মোঃ রাজিবুল ইসলাম বলেন “১৯৭১ সালে যাদের মহান আত্নত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। শ্রদ্ধার সাথে স্বরন করছি জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ প্রাণের আত্নদানে পরাধীনতার লৌহকঠিন শৃংখল ভেঙ্গে লাল সবুজের পতাকা উড়েছে এই পলল ভুমিতে। পৃথিবীর মানচিত্রে আমরা পেয়েছি এক অনবদ্য পরিচয়। স্বাধীনতার দীপ্ত শ্লোগানে মুখরিত সেই মহান বিজয়ের মাসে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি সেইসব অকুতোভয় বীর সেনানী আর সম্ভ্রমহারা মা, বোনদের। যাদের অদম্য সাহস আর আত্নত্যাগের সোপান বেয়ে বিজয় এসেছে। মহান বিজয় দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরনীয় দিন। আসুন আজ আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা করি যে, আমরা সব অন্যায় এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব, সবাইকে আমাদের দেশের মহত্ত্ব বোঝাব, সঠিক অর্থে আমরা একজন বাংলাদেশী হয়ে উঠব। মহান স্বাধীনতা দিবসের এটাই হোক আমাদের শপথ।”