গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলা পলাশবাড়ী-গাইবান্ধা সড়কের সাকোয়া নামক স্থানে সিএনজি ও যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চিকিৎসা নিতে ভারতে যাচ্ছিলেন নিঃসন্তান দম্পতি স্বামী স্ত্রীসহ ঘটনাস্থলে ৩ জন ও হাসপাতালে ১ জনসহ মোট ৪ জন নিহত হয়েছে। এঘটনায় আরো ১ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানা যায়, ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৭ টার দিকে যাত্রীবাহী একটি সিএনজি গাইবান্ধা শহর থেকে ছেড়ে এসে পলাশবাড়ীর সাকোয়া মাঝি পাড়া নামক স্থানে পৌছিলে বিপরিত দিক থেকে আসা গাইবান্ধামূখি শানে খোদা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখামুখি সংঘর্ষ হয়।এতে ঘটনাস্থলে তিন ও সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরো একজন নিহত হয়েছে। এছাড়াও একজন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতরা হলেন- গাইবান্ধা সদরের তুলসীঘাট দুর্গাপুর গ্রামের ছালাম মিয়ার ছেলে শামীম (৩০), জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি এলাকার কালাম সরকারের মেয়ে শিমু সরকার (২৪) শাকিল মিয়া (৩৫) ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গোপালপুর গ্রামের সিএনজি চালক নুরুল ইসলাম (৫০)।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা দুর্গাপুর গ্রামের সালাম মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া (৩০)। আট বছর আগে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে শিমু সরকারের (২৪) সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁরা দুজন ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। দাম্পত্য জীবনে তাঁদের কোনো সন্তান নেই। এ জন্য তাঁরা রংপুর ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এতে কোনো ফল পাননি। তাই ভারতে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট ও ভিসা করেন।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী থানা পুলিশের অফিসার ইনর্চাজ মাসুদ রানা জানান,এঘটনায় মোট ৪ জন নিহত হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘাতক বাসটি আটকের চেষ্টা চলছে ও নিহতদের পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।