বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে সংসদ অচল হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপির সংসদ থেকে পদত্যাগ সিন্ধুর মাঝে বিন্দু। এতে সংসদ অচল হবে না। এই বুদ্ধি যারা দিয়েছেন তারা অচিরেই পস্তাবেন। পতন যখন শুরু হয় তখন মানুষ ইচ্ছার বাইরেও ভুল করে। বিএনপির সংসদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তও ভুল।
রোববার বিকেলে মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।বিএনপির কোনো সংবিধান নেই, ফখরুল ইসলাম কবে সেক্রেটারি জেনারেল হয়েছে তার মনে নেই, সম্মেলন কবে হয়েছে তাও তিনি জানেন না। বিএনপির ঘওে নেই গণতন্ত্র, তারা কীভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র শুধু আওয়ামী লীগের ভেতর আছে, বিএনপির ঘরে নেই গণতন্ত্র, তারা কীভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। তাদের বলতে চাই, তাদের দলের সম্মেলন কবে হয়েছে? এ দলের জাম্বু-জেড মার্কা কমিটি কবে হয়েছে, কয়টা মিটিং হয়েছে। বিদেশিদের বলি তারা কেন জিজ্ঞেস করে না? তারা কীভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।খেলা হবে, এ লড়াই বড় কঠিন লড়াই, এ লড়াইয়ে জিততে হবে, ইনশাআল্লাহ আমরা জিতবো। শনিবার আকাশে মেঘ ছিল, সব মেঘ কেটে গেছে, আতঙ্ক দূর হয়েছে, স্বস্তি ফিরে এসেছে সাধারণ মানুষের ভেতর।
তিনি বলেন, এখনও পাঁচ মাসের রিজার্ভ আমাদের আছে আমদানি করা জন্য, যেখানে তিন মাসের রিজার্ভ থাকলেই হয়। আগে আমাদের দেশের মানুষ বাঁচাতে হবে, তার পর বড় বড় মেগা প্রকল্প পুনরায় আমরা হাতে নেব।
কাতার বিশ্বকাপের কথা উল্লেখ করে সেতুসন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা তো বিশ্বকাপ খেলা দেখছেন। একদিনও লোডশেডিং পেয়েছেন? বাংলাদেশের জন্য শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। উন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। এত সৎ নেতা, এত ভালো মানুষ পঁচাত্তরের পর এ দেশে আর একজনও আসেনি। আল্লাহর অনুগ্রহ। এ দেশ স্বাধীন হয়েছে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। এ দেশে মুক্তি হবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে।’
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল সালামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও মমতাজ বেগম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়