বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এত বড় বড় কথা বলেন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত! বন্ধুত্বটা নষ্ট করবেন না। আমরা বন্ধুত্ব চাই। অতীতে ‘৭৫, ‘৭১-এর মতো অনেক বেদনা আছে। তারপরও আমরা বন্ধুত্ব চাই। এভাবে করলে বন্ধুত্বে ফাটল ধরবে।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের অভ্যর্থনা উপ-কমিটির প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের চেহারা, গণতন্ত্রের অবস্থা আমরা দেখেছি। তাদের নির্বাচন একপক্ষ মেনে নেয়নি, রেজাল্ট মেনে নেয়নি। ফলস প্র্যাকটিস নাকি হয়েছে। নির্বাচনি জালিয়াতি বাংলাদেশে শুধু বলা হয় না, এসব শব্দ আমেরিকাও ব্যবহার হচ্ছে। সে সময় পাঁচ জন মানুষ মারা গেছে। কংগ্রেস আক্রান্ত হয়। ন্যান্সি পেলোসি কীভাবে লুকিয়ে ছিল সেই দৃশ্য আমরা দেখেছি।
অহেতুক কেন এসব কথা বলছেন? ডেইলি মেস শুট (নির্বিচারে গুলি) হচ্ছে, সপ্তাহে অন্তত দুইটা। একেকটাতে পাঁচ জন, ১০ জন। ১৯টি শিশু একটা মেস শুটে মারা গেছে। আপনারা মানবাধিকারের কথা বলেন। আর পুলিশকে সেখানে ধরা হয়েছে তারা যথাসময়ে সিকিউরিটি দেয়নি। দিলে এই ঘটনা ঘটতো না। সিকিউরিটি অনুপস্থিত। আমাদের আদালতপাড়া নিয়ে কথা বলেন। আপনাদের ওখানে কী হচ্ছে? সবাই নিজের চেহারাটা আগে দেখুক।আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, একই ব্যক্তির সব কমিটিতে নাম লেখবেন না। সেটা করবেন না। অনেকে দুর্দিনে দলের খোঁজ-খবর নেয়নি, সম্মেলনে উজানের কই মাছ হয়। মৌসুম চলে গেলে বসন্তের কোকিলও চলে যায়। এমন যারা আছেন, দয়া করে মাফ করে দেবেন। আওয়ামী লীগে লোকের অভাব নেই। বসন্তের কোকিল দরকার নেই। কাজের লোক দরকার, আমরা কাজের লোক চাই।
সম্মেলনে বিদেশের কাউকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি না। বিদেশি মিশনের কর্মকর্তাদের, ডিপ্লোম্যাটদের আমরা দাওয়াত দেবো। যেমন, বিশ্বব্যাংক, ইউআর, এদের যারা প্রতিনিধি আছে তাদেরও আমন্ত্রণ করতে হবে। সম্মানের সঙ্গে গিয়ে তাদের দাওয়াত কার্ড পৌঁছে দেবে। তাদের জন্য সম্মেলনে আসনের ব্যবস্থাও করতে হবে। কে আসবে এটা কনফার্ম করতে হবে। আন্দাজে আমরা সব দূতাবাসের জন্য আসন রাখলাম, আসলো না খালি পড়ে থাকলো। এটা কিন্তু কনফার্ম করতে হবে, কারা কারা আসবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অবাক হয়েছি। কাল মিডিয়ায় দেখলাম জার্মানিতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছে। ক্যু করছে। কাজে কারোরই ভেতরের খবর অতো সুখকর নয়। যুক্তরাজ্যে কয়বার চেঞ্জ হলো? প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন হলো, ডেভিড ক্যামেরন, টেরেসা মে, তারপর বরিস জনসন, লিজ ট্রাস এলো, এখন ঋষি সুনাক। তার বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। আমরা সেই তুলনায় অনেক ভালো আছি। সো কেউ ইন্টারফেয়ার করার দরকার নেই। আপনাদের এত কিছু হচ্ছে আমরা তো ইন্টারফেয়ার করিনি। আমাদের তো এত বছর হয়েছে এই ঘটনা ঘটেনি।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়