বৈশ্বিক সংকটকে পুঁজি করে জাতীয় রাজনীতিতে সংকট সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (২২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
কাদের বলেন,করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে যখন একটি অনাকাঙ্ক্ষিত সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তখন এই বৈশ্বিক সংকটকে পুঁজি করে জাতীয় রাজনীতিতে সংকট সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আর এই ষড়যন্ত্রের মূলে রয়েছে একুশে আগস্টের মাস্টারমাইন্ড খুনি তারেক রহমান ও তার দল বিএনপি। কাদের বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য কোনও রাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তার এবং রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ আওয়ামী লীগ কখনও সহ্য করেনি, করবেও না।
বিবৃতিতে ক্ষতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতারা তাদের চিরায়ত মিথ্যাচারের রাজনীতি অব্যাহত রেখে নানামুখী ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা অন্তরে ১৫ আগস্টের নির্মম-নিষ্ঠুর পাশবিক মানসিকতা এবং ২১ শে আগস্টের বর্বরতা ও পৈচাশিকতাকে ধারণ করেন। ঐতিহাসিকভাবেই বিএনপি স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ এবং জঙ্গি-সন্ত্রাস ও প্রতিহিংসার রাজনীতিকে লালন করে আসছে। তিনি বলেন,বিএনপির জন্মই হয়েছে সংবিধান লঙ্ঘন করে বন্দুকের নলের মুখে অবৈধভাবে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে। তাদের প্রতিষ্ঠাতা ইতিহাসের নিষ্ঠুর স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজেকে অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন। জিয়াউর রহমান একই সঙ্গে সেনাপ্রধান, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত থেকে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দল সৃষ্টি করেছিলেন। কারফিউ মার্কা গণতন্ত্রের প্রবর্তন করে এবং সামরিক শাসন বলবৎ রেখেই একাধিক প্রহসনের নির্বাচন করেছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন,এদেশে হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের প্রধানতম পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর থেকে গণতন্ত্র, মানবিক মুক্তি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের পথে এদেশের মুক্তিকামী মানুষকে যে সব সংকটের সম্মুখীন হতে হয়েছে, বিএনপিই সেসব সংকটের প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করেছে। এই অপরাজনীতির কারণে বিএনপি যখন জনরোষের মুখে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন মনে করেছে, তখনই তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে দেশবিরোধী ষড়ন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এমনকি ক্ষমতায় থাকাকালীন জনরোষের মুখে তাদেরকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়