স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের (বিএনপি) ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা চলাকালে হামলার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর। শনিবার (২০ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নে বামনগাঁও গ্রামে পল্লী চিকিৎসক ডা. লতিফের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে খারনৈ ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক গেধু মিয়া, একই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আক্কাছ আলী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কলি আক্তার, ডা. লতিফ, কাসেম, সোহেল, খালেক মেম্বার, রতন আকুঞ্জিসহ বিএনপির অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কলি আক্তার জানান, আমরা ৬নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা শেষে কমিটিতে অন্তর্ভূক্তদের নাম প্রকাশকালে ইউপি যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও হারুন মন্ডলের নেতৃত্বে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের ৪০-৪৫ জন রামদা, রড ও বৈঠা নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমার কোমরে কয়েকটি আঘাত করেছে। ডা. লতিফসহ আরো ২০-২২ জনকে বেদড়ক পিঠিয়েছে। আহতের ভয়ে কলমাকান্দা হাসপাতালে যেতে পারছে না তারা। অনেকে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহত লতিফকে দুর্গাপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খারনৈ ইউপি চেয়ারম্যান ওবাইদুল হক জানান, বাড়ির চারপাশে বেড়া দেওয়া ও বাহির থেকে দেখা যায় না। সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনায় করছিল বিএনপির নেতা-কর্মীরা। অমানবিকভাবে দা ও লাঠিশোঠা নিয়ে অতর্কিত হামলায় ইউপি বিএনপির আহবায়ককে মেরেছে, চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুরসহ ১৫-২০ জনকে মেরে মারাত্মক আহত করেছে। তাদেরকে কলমাকান্দা হাসপাতালে আনার সুবিধা নাই। তাই তাদেরকে দুর্গাপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাউসাম বাজার থেকে আমার ভাতিজা পল্লী পশু চিকিৎসক শফিকুল ইসলামকে ওয়ারেন্ট ছাড়া পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।
খারনৈ ইউপির যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘ওরা আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে শ্লোগানসহ আবোল তাবোল কথা-বার্তা বলতে ছিল। পরে আমরা লোকজন গিয়ে বলেছি তোরা মিটিং কর, নেত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলো কেন। এই আর কি?’
ইউপি যুবলীগ নেতা হারুন মন্ডল জানান, এখানে আ.লীগের নেতাকর্মীরা গিয়েছিল। মিটিংয়ের জন্য ইউনিয়ন আ.লীগের নেতাদের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার দরকার ছিল। বলা হয়েছিল অনুমতি নিয়ে মিটিং করবা। ওরা ওভারটেক করে মিটিং করেছে। ছেলে-পোলে গিয়ে না করে দিয়েছে। ওরা (বিএনপি) চলে গেছে।’ বিএনপি নেতা কর্মীদের ওপর মারধর ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই সব কিছুই করা হয় নাই।’
কলমাকান্দা থানার ওসি মো. আবদুল আহাদ খান জানান, শুনেছি স্বেচ্ছাসেবকলীগের ওপর বিএনপি হামলা করেছে খবরে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আটকের বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।