দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে অটল। উনি সেটার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। এর মানে দাঁড়ায়, ভারতের আনুকূল্যে এই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে। এখন সাধারণ মানুষ না খেয়ে থাকছে। দিন দিন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তবে ভালো আছে লুটেরা এলিট শ্রেণি। তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। তাই যে সরকার অন্যের জোরে টিকে আছে, তাদের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, নজিরবিহীন লোডশেডিং, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং হত্যা, গুম, দমন-পীড়নের প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সামনে নির্বাচনের কারণে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারকে দেশে আসার অনুমতি দিয়েছে সরকার। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই বর্গীদের মতো সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে। সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আজ বিভিন্নভাবে ডাইভার্ট করতে চায়। আওয়ামী লীগ তাদের অপকর্ম-দুর্নীতি থেকে মানুষের মনকে অন্য দিকে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে দেশের মূল সংকট একটা সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। আওয়ামী লীগ জোর করে বিনা ভোটে শুধু রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। এই আওয়ামী লীগকে সরাতে আমাদের পবিত্র দায়িত্ব আন্দোলন, আন্দোলন, আন্দোলন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনগণকে রাস্তায় নিয়ে এই ভয়াবহ রাষ্ট্র ধ্বংসকারী সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

এখন আর কোনো নির্বাচনের কথা নয়। এখন আর ঘুম পাড়ানির কোনো কথা নয়। এখন একটা মাত্র দাবি, এই সরকার কবে যাবে। তাই আমরা বলেছি, সবার আগে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমানসহ ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটি জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল একটি পার্লামেন্ট ও সরকার গঠন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দুঃখ হয় আমার, একটা দলের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করেন। দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনাও বলে থাকেন, জিয়াউর রহমান নাকি যুদ্ধ করেননি। জিয়াউর রহমানের নাকি বাইরে মুক্তিযোদ্ধার পোশাক ছিল, ভেতরে নাকি ছিল পাকিস্তান চর, ধিক্কার দেই আমি যারা জিয়াউর রহমানের ভূমিকাকে অস্বীকার করে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশকে স্থায়ীভাবে একটি অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক। এটা আমার কথা নয়, এটা খালেদা জিয়ার কথা যিনি গণতন্ত্রের জন্য আজও বন্দি হয়ে আছেন। তিনি বলেছিলেন বাংলাদেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, ব্যর্থ রাষ্ট্র করা হচ্ছে, এখন তাই হচ্ছে। প্রত্যেকবার নির্বাচনের আগে জনগণকে ভোট দেওয়ার জন্য লড়াই করতে হবে, সংগ্রাম করতে হবে। আর এটা যার জন্য হচ্ছে, তার জন্য দায়ী ওই খায়রুল হক সাহেব। এটাই হচ্ছে আমাদের প্রধান সমস্যা যে বিচার বিভাগ ধ্বংস হয়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ সরকার লুটেরা সরকার। তাদের সঙ্গে মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা দেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসই করে না। এ অবস্থায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চায় বিএনপি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটি গণমাধ্যমে পরিষ্কার করে উঠে এসেছে গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা পরিচালিত আয়নাঘর নামে একটি টর্চার সেল আছে, সেই সেলে আমাদের নেতাকর্মী ও মানুষকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, টর্চার করা হয় দিনের পর দিন মাসের পর মাস। কাউকে সেখানে মেরে ফেলা হয়, আবার কাউকে কাউকে বছরের পর বছর সেখানে রেখে দেওয়া হয়। যারা সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছেন তারা ভাগ্যবান, স্টেটমেন্টগুলো এখন দিচ্ছেন, কথা বলতে শুরু করেছেন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অপরাধ হলো বাংলাদেশের আত্মাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। এখন আর কোনো নির্বাচনী কথা নয়, একটাই দাবি সরকার কবে যাবে। সেই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। নিরপেক্ষ ইসি প্রতিষ্ঠা করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এক কথায় বলা যায়, এই সরকার হচ্ছে একটা লুটেরা সরকার। এই সরকারের সঙ্গে মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার এই রাষ্ট্রকে ইতোমধ্যে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এই সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। যার প্রমাণ তারা একে একে দিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে এবং নিজেদের স্বাধীন হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে। তখন আওয়ামী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ভারত সরকারকে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য বলেন। অর্থাৎ তারা এই কথা বলতে চান, ভারত সরকারের আনুকূল্যেই এই সরকার টিকে আছে।

দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়

 

 

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2024 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version