জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি ডালিম, রশিদ ও মুসলেহউদ্দিন কোথায় আছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে জীবিত থাকলে তাদের খুঁজে বের করা হবে। ইঁদুরের গর্তেও লুকিয়ে থাকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকালীন চার জনকে ধরা গেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসবে শুনে অন্যরা বিদেশে পালিয়ে গেছে। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বঙ্গবন্ধুর খুনি মহিউদ্দিনকে ফেরত দেওয়ার পর সর্বোচ্চ আদালতে আদেশের পরিপ্রক্ষিতে রায় কার্যকর করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘খুনি আজিজ বিদেশে মারা গেছেন। এস বি এম নূর চৌধুরী ও এম রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের দেশে আনতে আলোচনা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস আমরা তাকে আনতে পারবো।’
১৫ আগস্ট বিএনপি নেত্রী যদি মিথ্যা জন্মদিন পালন না করে এই খুনিদের ফিরিয়ে আনতে একটু সচেষ্ট হতেন, আমাদের জন্য কাজটা অনেক সহজ হতো। সেটা না করে বিএনপি সরকার, এরশাদ সরকার এই খুনিদের বিদেশে চাকরি দিয়েছে। আবার পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে আজকে আমাদের জন্য পথটা অনেক কঠিন করেছে।সারাবিশ্বে কঠিন সময় চলছে। বাংলাদেশের মানুষের কষ্ট শেখ হাসিনা বোঝেন, আমি বুঝি, আমরা বুঝি। সেজন্য বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা কষ্ট লাঘবের জন্য শেখ হাসিনার সেবামূলক সরকারের সদস্যরা আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু চালের দাম বাড়েনি; তেলের দাম, ডিজেলের দাম বাড়েনি। বাড়িয়ে কিন্তু আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি। অন্তত আওয়ামী লীগ সরকার চায় না, শেখ হাসিনার সরকার চায় না আপনাদের কষ্ট দিতে। আমরা বাধ্য হয়েই তেলের দাম বাড়িয়েছি। একটা লঞ্চের মাঝে যখন ঝড় ওঠে তার মাঝি বোঝে যে যাত্রীরা ভীত। তার যাত্রীরা জীবন-মরণের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা এই ঝড় পার করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।’