আগামী মাসের শেষ দিকে লোডশেডিং থেকে বের হয়ে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রবিবার (১৪ আগস্ট) “বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি” নিয়ে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স অব বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে আমরাও সংকটে আছি। এটি সাময়িক সমস্যা। বিশ্ব পরিস্থিতি যদি আর খারাপ না হয় তাহলে আমরা ভালোর দিকে যাবো। আর বিশ্ববাজারে যদি তেলের দাম কমে আসে তাহলে দেশে দাম সমন্বয় করবো। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কয়েকবারই এই দাম সমন্বয় করতে হতে পারে। সকলের একসাথে পাশে থাকা উচিত। চ্যালেঞ্জের সময় দীর্ঘ মেয়াদি আলোচনা করে লাভ নেই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের এই পরিস্থিতি সারা বিশ্বের পরিস্থিতি। এর আঘাত এসেছে আমাদের দেশেও। প্রতিবছর আমরা নির্দিষ্ট নিয়মে অনুসন্ধান করে যাচ্ছি– এতে যে পরিমাণ গ্যাস পাচ্ছি তা দিয়ে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমদানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালের পর শিল্পখাতে অনেক বিনিয়োগ হয়েছে। গ্যাসের চাহিদা হুট করেই বেড়ে গেছে। দশ বছরে ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন বেড়েছে। ভোলায় বিরাট ক্ষেত্র পেয়েছি। অন শোরে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে সেটি সময়সাপেক্ষ।সংকট মোকাবিলায় আমাদের চেষ্টার কোনও কমতি নেই। আমরা তো কয়েকমাস আগেও ভালো ছিলাম। আগে জ্বালানি তেল সস্তা ছিল, এখন বেড়েছে। আমরা তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সরে আসছি। এদের ক্যাপাসিটি চার্জ নাই। জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে। এই ধরনের কেন্দ্র আগামীতে ১০ থেকে ১৬ ভাগ থাকবে।
তিনি বলেন, আমাদের একটার পর একটা বেইজলোড বিদ্যুৎ কেন্দ্র চলে আসছে। আমরা খুব আশাবাদী। পরিস্থিতি যখন খারাপ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ধৈর্য ধরতে হবে। বিশ্বের বহুদেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করেছে। বিশ্বের পরিস্থিতি ভাল না। আমরা এখনো আউট অব হ্যান্ড চলছি না। আমরা যেসব উদ্যোগ নিচ্ছি তা আগেই নেয়া হয়েছে। এটি খুব সাময়িক সমস্যা।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়