পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরী, ফেনী জেলা প্রতিনিধি: জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ফেনী জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের ইসলাম রোড থেকে ফেনী জেলা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ট্রাংক রোডস্থ জিরো পয়েন্টের দিকে আসছিল। এ সময় মিছিলটি জিরোপয়েন্ট এলাকায় পৌঁছালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। পরে পুলিশ ১০/১২ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল জানান, তারা শহরের বড় বাজারের ইসলামপুর রোডে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির জন্য জড়ো হন। এ সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে হামলা করে। হামলায় তাদের ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ তপু বলেন, ছাত্রলীগ কারোর ওপর হামলা করেনি। ছাত্রলীগ শান্তিপূর্ণ মিছিল করে ফিরছিল। এ সময় বিএনপির লোকজন শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের বিভিন্ন দোকানে ইট-পাটকেলে নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায়। তারা গুলিও নিক্ষেপ করে। এ সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় বিএনপির সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে। ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, শান্তির জনপদকে অশান্ত করার জন্য বিএনপির মিছিলে কে বা কারা হামলা করেছে তা আমাদের জানা নেই। এ ঘটনায় আমাদের কেউ আহতও হয়নি। তবে সিসিটিভি রয়েছে সেগুলো দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, বিএনপির সমাবেশ সংলগ্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০/১২ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়েছে কিনা এখন পর্যন্ত জানি না।
আপনি যা যা মিস করেছেন
Add A Comment