বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট খুনি মোশতাক, জিয়াউর রহমান গংরা মনে করেছিল জাতির পিতাকে হত্যা করে তার নাম মুছে ফেলবে। কিন্তু তার নাম মুছে ফেলা যায়নি। কারণ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের হৃদয়ে। ইচ্ছে করলেই কেউ বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে পারবে না জানিয়েছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপ-মন্ত্রী এনামুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হচ্ছে পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র নেতা যিনি প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি না হয়েও যা বলতেন তৎকালীন পূর্ব বাংলার সাড়ে ৭ কোটি মানুষ তাই করতেন। এটা একদিনে হয়নি। ধাপে ধাপে ধীরে ধীরে হয়েছে— আটচল্লিশ, বায়ান্ন, বাষট্টি, ছিষট্টি, ঊনসত্তর, একাত্তরে। বঙ্গবন্ধুকে অনেকেই মহাত্মা গান্ধী, কায়েদ-ই-আজমসহ অনেক বিশ্ব নেতার সঙ্গে তুলনা করেন। মহাত্মা গান্ধী কিন্তু কংগ্রেস সৃষ্টি করেন নাই। কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। কায়েদ-ই-আজম মুসলিম লীগ সৃষ্টি করেন নাই। মুসলিম লীগে যোগ দিয়েছিলেন। আর বঙ্গবন্ধু হচ্ছে পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল একজন নেতা যিনি একটি রাজনৈতিক দলকে তিলে তিলে গড়ে তুলে সেই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে একটি দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। সেই দেশের নাম হচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি বলেছিলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না মানুষের অধিকার চাই। আসলে তিনি স্বাধীনতা চেয়েছিলেন। অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সংগ্রাম করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তিনি হতে পারেতনই। মন্ত্রীত্ব থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার জন্য। কারণ তাঁর লক্ষ্য নির্ধারিত ছিল। তার লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে তিলে তিলে গড়ে তুলে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। এবং পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের বিজয়ী হতে হবে।
এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে অনেকে আব্রাহাম লিংকনের গেটিসবার্গের ভাষণের সঙ্গে তুলনা করেন, আরও অনেক ভাষণের তুলনা করেন। আসলে এই ভাষণের সঙ্গে অন্য কোনও ভাষণের তুলনা হয় না। একটি জাতিকে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে মুক্ত করার জন্য, স্বাধীন করার জন্য, যা কিছু করার দরকার তিনি তা করেছিলেন। চিন্তা করেন একটি বাক্য যদি ভুল হতো সেখানে অনেক কিছুই হয়ে যেতে পারতো।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়