শেখ জহিরুল ইসলাম নান্দাইল (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি বিশ্বের মুসলিম উম্মাহদের জন্য ১০ মহরম আশুরা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ একটি দিন। দিনটি পবিত্র আশুরা নামে পরিচিত। হিজরি ৬১সনের এই দিনে সত্য ও ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে, মহানবী হয়রত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর দৌহিত্র (নাতি) হয়রত ইমাম হোসাইন (রাঃ) এবং তার পরিবারের সদস্যগণ কারবালার ময়দানে ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে শহীদ হন। শান্তির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে উজ্জীবিত রাখতে হয়রত ইমাম হোসাইন (রাঃ)-এর আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। কারবালার শোকাবহ ঘটনা অত্যাচার ও অত্যাচারীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্যর পথে চলতে প্রেরণা জোগায়। ইসলাম ধর্মা-অবলম্বী মুসলিম সম্প্রদায় নফল রোজা, নামাজ, জিকিরের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন বিশ্ব মুসলমানরা। তারেই ধারাবাহিকতা ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাকচর থেকে কারবালার মর্মান্তিক শোকের স্মরণে তাজিয়া মিছিল শুরু হয়েছে। গত করোনা মহামারির কারণে বিগত ২ বছর পর পূর্ণাঙ্গ পরিসরে তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিল সমন্বয়ের মূল দায়িত্ব পালন করছে গোলাম মোঃ নয়ন। তাজিয়া মিছিল সাজানো হয়েছে কারবালার শোকের নানা প্রতিকৃতি দিয়ে। বিবি ফাতেমা (রাঃ) স্মরণে মিছিলের শুরুতেই একটি পালকি বহন করা হচ্ছে। তাজিয়া মিছিলে অংশগ্রহণ কারীরা বহন করছেন রং-বেরং বিভিন্ন নিশান। মিছিলে রয়েছে ১’টি ঘোড়া যার মধ্যে রং দিয়ে রক্তের রূপ দেওয়া হয়েছে ও তীর বিদ্ধ আকৃতি ধারণ করানো হয়েছে। আবার যুদ্ধের শেষে রক্তাক্ত ঘোড়ার অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। তাজিয়া তৈরি করা হয়েছে ইমাম হোসেন (রাঃ) সমাধির নেয়। একদল রয়েছেন যারা শোকের (জারি) গান গাইতে গাইতে সামনের দিকে এগুচ্ছেন। এছাড়া অনেকেই বুক চাপড়ে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ বলে আহা-জারী করছেন। গায়ে লালসালু কাপড় লাগিয়ে কারাবালার সেই রক্তপাতের দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে মিছিলে। কাকচের জারি বাড়ি থেকে তাজিয়া মিছিলটি শুরু হয়ে নান্দাইল বাজার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কাকচর জারি বাড়ির সামনে “প্রতিকী কারবালা” প্রাঙ্গণে গিয়ে তাজিয়া মিছিল শেষ হয়।