নতুন করে গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় সব বাসের চালক-হেল্পারদেরকেই অতিরিক্ত ভাড়া নিতে বিভিন্ন বাহানায় যাত্রীদের সঙ্গে তর্কে জড়াতে দেখা যায়। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, ওয়ে বিল, মালিকের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের চাপসহ নানা বাহানায় শুধু ভাড়া বাড়িয়েই তারা ক্ষান্ত হয় না, চলে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী নেওয়া। এ নিয়ে যাত্রীদের আপত্তি কানেই তোলে না বাসের চালক-সহকারীরা। এই পরিস্থিতিকে এক যাত্রী নাম দিয়েছেন— ‘বাস বোঝাই জিম্মি’।
আট মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় গণপরিবহনে চলছে ইচ্ছা মতো ভাড়া আদায়ের মহোৎসব। সরকার থেকে ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও কোনও গণপরিবহনই মানছে না সেই ভাড়া। এমনকি কোনও কোনও পরিবহনে এখনও টাঙানো হয়নি নতুন ভাড়ার তালিকা। গন্তব্য যাই হোক না কেন— নানা বাহানায় যাত্রীদের থেকে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
তেলের দাম বাড়লে সব ব্যবসায়ীরা লাভ বুঝে নেয় কিন্তু জনগণের লাভ কেউ দেখে না। তেলের দাম বাড়লো বাসের ভাড়াও বাড়লো, পরে অন্যান্য জিনিসেরও দাম বাড়বে। সবাই সবার ভাগ বুঝে নিচ্ছে কিন্তু এই জনগণের কথা কেউ ভাবে না। তারা সব কিছু চাপিয়ে দেয় আমাদের ওপর।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে বিআরটিএ-এর পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করার কথা থাকলেও মিরপুর-গুলিস্তান রুটে ভাড়ার বিষয়ে কাউকে তদারকি করতে দেখা যায়নি। ফলে ভাড়া নিয়ে চলছে নৈরাজ্য।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে যাত্রীদের সচেতন ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘রাস্তায় গাড়ি চলাচলের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করেই নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই কোনও ধরনের বাহানা দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সুযোগ নেই। বরং ভাড়া নৈরাজ্যের বিষয়ে যাত্রীদেরই আরও সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। আমি যাত্রীদের অনুরোধ জানাচ্ছি— যদি কোনও বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করা হয় আপনারা ট্রাফিক পুলিশ বা বিআরটিএ’এর কাছে যথাযথ প্রমাণসহ গাড়ির নাম্বার এবং কোম্পানির নাম লিখে অভিযোগ জানাবেন।এছাড়াও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের (www.rthd.gov.bd) মাধ্যমেও সরাসরি অভিযোগ করারও পরামর্শ দেন তিনি।
দ্যা েমইল বিডি/খবর সবসময়