সোমবার (৮ আগস্ট) থেকে চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা এবং ট্রাভেল পারমিট চালু করবে ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস। রবিবার রাজধানীর (৭আগস্ট) একটি হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ঢাকা সফররত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি জানান, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। উক্ত বৈঠকে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বিষয়ে চারটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
যে চারটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে-
১. পিরোজপুরে অষ্টম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেতুর হস্তান্তর সনদ
২. দুর্যোগ মোকাবিলা সহায়তার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারকের নবায়ন
৩. ২০২২-২৭ মেয়াদে সংস্কৃতিক সহযোগিতা সমঝোতা স্মারকের নবায়ন
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের ফার্স্ট ইনস্টিটিউট অব ওশেনোগ্রাফির মধ্যে মেরিন সায়েন্স নিয়ে সমঝোতা স্মারক
শাহরিয়ার আলম জানান, সোমবার থেকে চীনে ফেরত যাওয়ার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা এবং ট্রাভেল পারমিট চালু করবে ঢাকার চীনা দূতাবাস। করোনার কারণে দীর্ঘদিন চীনে যাত্রা বন্ধ ছিল।
এ দিকে বৈঠক শেষে চীনা উপ-রাষ্ট্রদূত হুয়ালন ইয়ান তার ফেসবুকে পেজে জানান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ঘোষণা করেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা আজ (রোববার) থেকে চীনের ক্যাম্পাসে ফিরে যাবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা দেওয়া হবে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকায় এসেছেন। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষেই চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজই ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।