ইউরিয়া সারের দাম বাড়লেও ফসল উৎপাদনে কোন প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী  ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

আজ বুধবার সকালে বরিশাল শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বরিশাল বিভাগসহ উপকূলীয় অঞ্চলে তেল, ফসল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালা শুরুর আগে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এ কর্মশালার আয়োজন করে।

সরকার ইউরিয়া সারের সুষম ব্যবহারের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করছে এ কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের মধ্যে ইউরিয়া সার বেশি ব্যবহার করার প্রবণতা রয়েছে।

তিনি বলেন, ডিএপি সারে শতকরা ১৮ ভাগ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য সরকার ডিএপি সারের মূল্য প্রতিকেজি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে প্রথমে ২৫ টাকা (২০০৯ সালে) এবং পরে ২০১৯ সালে ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করে কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিএপির সারের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও ইউরিয়া সারের চাহিদা কমে নি। দাম বৃদ্ধির ফলে ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি ইউরিয়ার সারের বর্তমান দাম ৮১ টাকা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকার ইউরিয়া সারের দাম ১ আগস্ট থেকে কেজিতে ৬ টাকা বাড়িয়েছে। ফলে ডিলার পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতিকেজি ১৪ (চৌদ্দ) টাকা হতে ২০ (বিশ) টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে প্রতিকেজি ১৬ (ষোল) টাকা হতে বেড়ে ২২ (বাইশ) টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে ।

আন্তর্জাতিক সংকটকে কাজে লাগিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার ও সংকট থেকে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি। তারা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করছে। এ দেশের জনগণ অত্যন্ত সচেতন ও বাস্তববাদী। জনগণ বিএনপির অপশাসন, লুটতরাজ ও দুর্নীতি ভুলে যায় নি। বিএনপির আমলে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল, দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি হয়েছিল, নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় উন্নতদেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য,জার্মানি, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ অনেক দেশেই বাংলাদেশের চেয়ে মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি। আন্তর্জাতিক সংকটের ফলে দেশের মানুষের কিছুটা সাময়িক কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু  দেশে চরম কোন সংকট হবে না, খাদ্য সংকট বা কোন হাহাকার হবে না।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি তাদের শাসনামলে ৫ বছরে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে নি। কাজেই, বিএনপি, জামায়াত যতই অপচেষ্টা করুক, তারা সফল হবে না। দেশের মানুষ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে না। জনগণ সবসময়ই আমাদের সাথে ছিল, আগামীতেও আমাদের সাথে থাকবে’।

দ্যা েমেইল বিডি/খবর সবসময়

 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version