শেখ জহিরুল ইসলাম নান্দাইল (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি:
মাদ্রাসার জায়গায় অবৈধভাবে দখলে নিতে চায় মোঃ বিল্লাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে জানা যায় নান্দাইল উপজেলা ৬নং রাজগাতি ইউনিয়নের, কালীগঞ্জ বাবুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার জমি জোর দখলে নেওয়ার অভিযোগ করছেন মাদ্রাসার গভর্নিং বডির অভিভাবক সদস্যগণ। তাদের অভিযোগ উল্লেখ করেন,রাজগাতি ইউনিয়নের কাশিনগর মৌজার সাবেক দাগ নং ১২৩, জমির ৩.০২ শতাংশের খাত ৪৭ শতাংশ। যার বর্তমান বিআরএস খতিয়ান নং ২৪৫। হাল দাগ নং ৮৩৮, জমির পরিমাণ ৪৭ শতাংশ। জমি মালিক কালীগঞ্জ বাবুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা। উক্ত অভিযোগ কারি দের সাথে সাক্ষাৎ করে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গভর্নিং বডির সভাপতি এনামুল হক লিমন ও মাদ্রাসার সুপার মোঃ আব্দুল সালাম বলেন, ৪৭ শতাংশ জমি কাগজে কলমে আছে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে জমি দখলে আছে ৪৩.০৫ শতাংশ। এবং বর্তমান মাদ্রাসার বাহিরে জমি রইয়েছে ০৩.০৫ শতাংশ। ইদানিং দেখছি বিল্লাল হোসেনকে উস্কানি দিয়ে মাদ্রাসার জমি বেদখল দেওয়ার পায়তারা করছে এক শ্রণীর মানুষ। কাগজে পত্রে থাকলেও সাড়ে তিন শতাংশ জমি এমনিতেই কম, কিন্তু এখন নতুন করে বিল্লাল হোসেন বলছে মাদ্রাসায় নাকি তার জায়গা আছে।
মাদ্রাসার সুপার মোঃ আব্দুল সালাম
বলেন, আমি মাদ্রাসায় যোগদান করেছি প্রায় ৫ বছর হয়েছে। আমি যোগদান করার পর থেকে দেখছি ওই জায়গাটা মাদ্রাসার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এমন কি আবুল কাশেম নামে এক লোকের কাছে আগেই ভাড়া দিয়ে ছিলেন সাবেক মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কাদের। এখন প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে গভর্নিং বডির সদস্যদের সম্মতিক্রমে পুনরায় আবুল কাশেমের কাছে ভাড়া দিতে গেলে অবৈধ ভাবে বিল্লাল হোসেন মাদ্রাসার জায়গায় নিজের বলে দাবি করেছেন।
বিল্লাল হোসেনের উপর আনিত অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকগণ বিল্লাল হোসেন সাথে যোগাযোগ করলে। বিল্লাল হোসেন বলেন, এই জায়গায় মাদ্রাসার। কিন্তু এখানে আমার একটি কথা আছে। মাদ্রাসা করার সময়, আমার জমি থেকে আংশিক জমি মাদ্রাসায় দিতে হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এওয়াজ মূলে জায়গা আমার বলে দাবী করেন বিল্লাল হোসেন। বিল্লাল হোসেনের কাছে এওয়াজ দলিল আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জায়গার পরিবর্তনের (এওয়াজ) কোন কাগজ করা হয়নি। এই ঘটনার উপর ভিত্তি করে স্থানীয় জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সুষ্ঠু সমাধানের জন্য গভার্নিং বড়ির সকল সদস্য ও স্থানীয় জনতা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।