আওয়ামী লীগের ব্যয়ের চেয়ে আয় বেশি হয়েছে। এ সময়ে দলটির আয় হয়েছে ২১ কোটি টাকা। ব্যয় হয়েছে ছয় কোটি টাকা।
আজ রোববার সকালে নির্বাচন কমিশনের সচিব হুমায়ূন কবীর খোন্দকারের কাছে আওয়ামী লীগের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছেন দলটির কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান।
২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আয় বেড়েছে ১০ কোটি ৯০ লাখের বেশি টাকা। পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে ব্যয় কমেছে তিন কোটি ৬৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দলটির ব্যাংকে জমা রয়েছে ৭০ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ১৬৬ টাকা।
২০২১ সালের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আয় ২১ কোটি ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ১০৬ টাকা। ব্যয় হয়েছে ছয় কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ৮৫২ টাকা। আয়ের বড় খাত মনোনয়নপত্র ও প্রাথমিক সদস্যফরম বিক্রি।
আয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দলটি মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ফরম বিক্রি ও সম্পত্তির কথা জানিয়েছে।
২০২০ পঞ্জিকা বছরের তুলনায় গত বছর দলটির ব্যয় তিন কোটি ৬৪ লাখ ৩০ হাজার ৭৯ টাকা কম হয়েছে। ব্যয় কমার কারণ হিসেবে দলটি জানিয়েছে, ২০২০ সালে করোনা মহামারিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২১ পঞ্জিকা বছরে নগদ অর্থ বিতরণের পরিমাণ কম ছিল।
জমা দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের ব্যয়ের প্রধান খাতগুলো হলো—কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, সংগঠন পরিচালন ব্যয়, অফিস ভাড়া, প্রচার ও প্রকাশনা।
২৮ জুলাই গত বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দেয় বিএনপি। হিসাবে অনুযায়ী, ২০২১ সালে দলটির আয় হয়েছে ৮৪ লাখ ১২ হাজার ৪৪৪ টাকা। ব্যয় হয়েছে এক কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার ১৭১ টাকা। হিসাব মতে, গত বছর বিএনপি আয়ের চেয়ে এক কোটি ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৭২৭ টাকা বেশি ব্যয় করেছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী, পূর্ববর্তী পঞ্জিকা বছরে দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইসির কাছে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কোনো দল পরপর তিন বছর হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিল করতে পারে ইসি।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়