স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে বিচারাধীন মামলার নথি চুরি। চুরি যাওয়া নথির ওকালতনামা, রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি দুপক্ষের হাজিরা ও সময়ের আবেদন এই সব কাগজপত্রের ছেঁড়া অংশ পাওয়া গেল আদালতের ছাদে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্টেনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. জলিলুর রহমানকে গ্রেফতার করে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ।
বুধবার (২৭ জুলাই) বিকেলে গ্রেফতারকৃতকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১ (সদর কোর্ট) পাঠালে অভিযুক্ত জলিলুর রহমান ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। পরে ওই আদালতের বিচারক অঞ্জন কান্তি দাস অভিযুক্তকে কারাগারে পাঠান।
এরআগে গত সোমবার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মুহাম্মদ নুরুজ্জামান বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ সব তথ্য নিশ্চিত করে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, অভিযুক্ত আদালতে এ ঘটনায় আরো দুজন জড়িতে থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আদালত তাকে জেলে প্রেরণ করেন।
ওসি আরো জানান, গত ২১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) দুপুরের দিকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনোটাইপিষ্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর ফারুক আহমেদ বিচারাধীন একটি মামলার সাক্ষীর জবানবন্দী ও জেরার কিছু অংশ কম্পিউটারে কম্পোজ করার পর বিদ্যুৎ চলে যায়। নথিটি তার পাশের টেবিলে রেখে দুপুরের খাবার ও নামাজের জন্য তিনি চলে যান। ফিরে এসে অবশিষ্ট অংশ কম্পোজের জন্য নথিটি খুঁজে না পেয়ে সকলকে অবগত করেন।
খোঁজাখুজির একপর্যায়ে ওইদিন বিকেলের দিকে আদালত ভবনের ছাদে হারানো নথির ওকালতনামা, রাষ্ট্র ও আসামি দুপক্ষের হাজিরা ও সময়ের আবেদন এই সব কাগজপত্রের ছেঁড়া অংশ পাওয়া যায়। আদালতের নাজির মুহাম্মদ নুরুজ্জামান (মামলার বাদী) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেন এবং পুলিশকে খব দেন। পুলিশ গিয়ে চুরি যাওয়া নথির ছেড়া অংশগুলো জব্দ করে জানান তিনি।
এ ঘটনায় গত ২৫ জুলাই বাদী থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগটি ওইদিন রাতে থানায় রেকর্ডভূক্ত করা হয়। পরেরদিন মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার এবং বুধবার আসামিকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।