ধাপে ধাপে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করার পর অবশেষে কানাডার টরন্টো গেল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট।
মঙ্গলবার মধ্যরাত ৩টা ৫০ মিনিটে (বুধবার, ২৭ জুলাই) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি টরন্টোর উদ্দেশে রওনা হয়। ফ্লাইটে মোট ১৫৪ জন যাত্রী ছিল।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানান,ঢাকা থেকে টরন্টোগামী বিজি-৩০৫ ফ্লাইটটি তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে নেমে তেল নেবে। ঘণ্টাখানেক পর এটি আবার টরন্টোর উদ্দেশে রওনা হবে। তবে ফেরার সময় টরন্টো থেকে সরাসরিই ঢাকায় আসবে। ফ্লাইটটি প্রায় ২০ ঘণ্টা আকাশে উড়ে টরন্টো পৌঁছাবে। সেখান থেকে বাংলাদেশে ফিরতে সময় লাগবে ১৬ ঘণ্টা।
২৭ জুলাই থেকে সপ্তাহে প্রতি বুধবার বিজি-৩০৫ বাংলাদেশ সময় ভোর ৩টা ৩০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টরন্টোর উদ্দেশে যাত্রা করবে। যাত্রাপথে ফ্লাইটটি রিফুয়েলিংয়ের জন্য স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবতরণ করবে। এক ঘণ্টা বিরতি শেষে ইস্তাম্বুল থেকে রওনা দিয়ে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে ফ্লাইটটি টরন্টো পৌঁছাবে।
সপ্তাহে প্রতি রোববার বিজি৩০৫ ঢাকা থেকে ভোর ৩ টায় যাত্রা করে রিফুয়েলিংয়ের জন্য স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবতরণ করবে। এক ঘণ্টা বিরতি শেষে ইস্তাম্বুল থেকে রওনা দিয়ে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে ফ্লাইটটি টরন্টো পৌঁছাবে।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্র্যান্ড নিউ বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের মাধ্যমে ঢাকা-টরন্টো রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। এ বিমানের আসন সংখ্যা ২৯৮টি।
এবছরের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে টরেন্টোর উদ্দেশে পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান। ফ্লাইটটিতে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও বিমানের এমডি এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা ছিলেন। ২৬ তারিখ ফ্লাইটটি টরেন্টো গিয়ে ২৯ তারিখ দেশে ফেরে। তবে দেশে ফেরার পর ফ্লাইটটি সরাসরি পরিচালনা না করে তুরস্কে স্টপওভার করে রি-ফুয়েলিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।ঢাকা থেকে টরন্টো ফ্লাইটের রিটার্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়