স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাতিজার দায়ের কোপে চাচা সেলিম মিয়া (৪৫) নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ জুলােই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নে ডোমদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত সেলিম মিয়া একই গ্রামের মৃত আ. মজিদের ছেলে।
খবর পেয়ে পুলিশের কেন্দুয়া সার্কেলের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার জুনাইদ আফ্রাদ, থানার ওসি আলী হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সন্দেহমূলক ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই গ্রামের আক্কাস আলী (৫০) ও মোস্তাক মিয়া (৩৩) নিয়ে আসা হয়েছে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত পাঁচজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে নিহতের ভাগিনা হান্নান মিয়ার (২৮) অবস্থা মুমূর্ষ ও আশংকাজনক। অন্যান্য আহতেরা হলেন- নিহতের স্ত্রী নুরনাহার (৩০), বড়ভাই প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বুলবুল (৫০), ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আখি আক্তার (২৯) এবং মুমূর্ষ হান্নান মিয়ার স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার (২৪)।
একই গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু হানিফ জানান, দীর্ঘদিনে ধরে সেলিম মিয়ার বাড়ি পাশে পৈতৃক সম্পত্তি তার হেফাজতে রয়েছে। ওই সম্পত্তি কাগজে কলমে সেলিমের চাচাদের নামে রেকর্ডে ওঠে যায়। এ নিয়ে চাচাতো ভাইয়ের সন্তানদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মতবিরোধ চলে আসছে। মঙ্গলবার নিহতের ভাতিজা সোহেল তার আত্মীয়-স্বজনসহ গ্রামের প্রায় ২০-২৫ লোক মিলে জমি দখল নিতে যায়। এতে বাধা দিলে সেলিম মিয়াকে দা দিয়ে কোপ দিলে ডান পা কেটে যায় ও শরীরের অন্যান্য স্থানেও কোপ লাগে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যারা ফেরাতে আসলে তারাও রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হন।
তিনি আরো জানান, স্থানীয়দের সহায়তায় সকলকে উদ্ধার করে মমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে পথের মধ্যে সেলিম মিয়া মারা যান। অন্যান্য আহতদের মধ্যে ভাগিনা হান্নানের অবস্থা সংকটাপন্ন। নিহতের স্ত্রী, বড়ভাই, ছোট ভাইয়ে স্ত্রী ও ভাগিনা বউ তারা সকলে মমেক হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
কেন্দুয়া সার্কেলের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার জুনাইদ আফ্রাদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে থানায় আনা হয়েছে। সম্পৃক্ততা পেলে তাদেরকে আটক দেখানো হবে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সহযোগিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তিনি।