স্টাফ রিপোর্টার : আদালতের ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি ধরতে গিয়ে আসামির দুই ভাই সেনা ও বিজিবির সদস্য কর্তৃক পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মারধরের শিকার হয়ে আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি মো. নাছির মিয়া (৪২) ও তার বড় ভাই বিজিবির হাবিলদার মো. কামাল মিয়াকে (৪৪) আটক করেছে। আসামির ছোট ভাই সেনাবাহিনীর সৈনিক মো. ইমরান (৩০) পালিয়ে গেছেন। আর আহত পুলিশের এএসআই মো. আবু রায়হান আজাদ নেত্রকোনা মডেল থানায় কর্মরত।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজন নেত্রকোনা পৌরশহরে পারলা এলাকার মো. বাবুল মিয়ার ছেলে। নাছির মিয়া বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) চাকুরিকালীন সংস্থা কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৪নং আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। কামাল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৩৯ ব্যাটালিয়নের হাবিলদার পদে ময়মনসিংহ সেক্টরে কর্মরত। পলাতক ইমরান কক্সবাজারের রামু ক্যান্টনমেন্টে সৈনিক পদে কর্মরত জানা গেছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ। তিনি জানান, আদালতের ওয়ারেন্ট তামিল করতে গিয়ে পারলা এলাকায় জয়বাবা লোকনাথ জুয়েলারী দোকানের সামনে এএসআই রায়হান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আসামি নাছির মিয়ার পরিচয় শনাক্ত করে ধৃত করেন। এসময় তার দুই ভাই বিজিবি ও সেনা সদস্য রায়হানকে মারধর করেন। মারধরের শিকার হয়েও রায়হান আসামিকে ঝাপটে ধরে রাখেন। এ অবস্থায় হ্যান্ডকাফ পাড়নো সময় নাছিরের ভাইয়েরা রায়হানকে এলোপাথারীভাবে গালে, নাকে, বাহুতে, বুকে, পিঠে, গলাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কিল, ঘুষি মারিয়া রক্তাক্ত জখমসহ নীলা ফুলা জখম করেন। একপর্যায়ে আসামি নাছিরকে ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা। খবর পেয়ে পুলিশের আরেকটি টিম রায়হানকে উদ্ধার ও বিজিবি সদস্য কামালকে আটক করে।
তিনি আরো জানান, পরে কৌশলে নাছিরকে আটক ও হ্যান্ডকাফটি উদ্ধার করা হয়। তাদের দুজনকে আজ (সোমবার) আদালতে পাঠানো হয়েছে। হাবিলদার কামালকে বিজিবির কর্তৃপক্ষ তাদের আইনে বিচারের আবেদন করে আদালত থেকে হেফাজতে নেন। সেনাসদস্য ইমরান তিনি পলাতক রয়েছেন। তার বিষয়টি সেনা কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
গত রবিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে নেত্রকোনা পৌরশহরে পারলা এলাকায় আসামির দুই ভাই কর্তৃক মডেল থানার পুলিশের এএসআই মো. আবু রায়হান আজাদ মারধরের শিকার হন। পরে তিনি আহত হয়ে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।