স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় পুলিশ মিয়া (৭৫) নামে এক বৃদ্ধকে পাজরে কোপানো ও গলা কেটে হত্যার মামলা দায়েরের একদিনের মধ্যে আট আসামিকে গ্রেফতার করেছে আটপাড়া থানা-পুলিশ ও র্যাব-১৪।
সোমবার (২৫ জুলাই) মধ্যরাত থেকে ভোরের মধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গত রবিবার (২৪ জুলাই) জয়নাল মিয়াকে প্রধান আসামিসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ এবং আরো ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত করে নিহতের ছেলে আলম মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আটপাড়া থানার ওসি জাফর ইকবাল হত্যা মামলা দায়েরে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার পালগাঁও গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. সাদেক মিয়াকে (৫২) পার্শ্ববর্তী উপজেলা কেন্দুয়ার মাসকা গ্রাম ও একই গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মো. রফিক মিয়াকে (৩৫) ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সরিষাহাটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা দুজন হত্যা মামলার যথাক্রমে ১০নং ও ১৩নং এজাহারভূক্ত আসামি। তাদেরকে আজ (সোমবার) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও একই মামলার আরো ছয় আসামিকে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪ এর ভৈরব ক্যাম্পের একটি দল জানান তিনি।
র্যাব-১৪ (সিপিসি-৩) এর ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের (পিপিএম) এই হত্যা মামলার পালগাঁও গ্রামের মৃত কামাল উদ্দিন মুন্সির তিন ছেলে জয়নাল মিয়া (৪০), মাসুদ মিয়া (৩৮) ও মাহবুব (৩৬), একই গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে জনি মিয়া (২৩) এবং মৃত হাফিজ উদ্দিনের দুই ছেলে এরশাদ মিয়া (৪২) ও আলম মিয়া (৩২) তাদেরকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানার হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পালগাঁও গ্রামের হেলিম পক্ষের খায়রুল, হুমায়ুন, সোহেল ও ইমন এবং মোজাম্মেল পক্ষের মোজাম্মেল, জাহাঙ্গীর জনি, সমরোজ, রব মিয়া মিলন মিয়া গংদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এদিন ১০টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে নিজ ঘরে ঘুমাতে যান পুলিশ মিয়া।
পরেরদিন শুক্রবার (২২ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে বাদীর স্ত্রী মানি আক্তার শ্বশুরের ঘরের ঢুকে দেখতে পান তার শ্বশুরের পিঠের পাজরে কোপানো ও গলা কাটা রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছেন। ২৪ জুলাই (রবিবার) নিহতের ছেলে আলম মিয়া বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।