টানা দুই ম্যাচ জিতে ইতিমধ্যে সিরিজটা নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। যেখানে পাত্তাই পায়নি নিকোলাস পুরানের দল। এখন উইন্ডিজদের হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগটা কাজে লাগানোর পালা। সেই টার্গেট বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই গায়ানায় শনিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে তামিম বাহিনী।
প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
গায়ানার কন্ডিশন বাংলাদেশের পক্ষেই কথা বলেছে। স্লো, লো বাউন্স ও স্পিনিং উইকেট সাহায্য করেছে মিরাজ-নাসুমদের। যেন হোম অব ক্রিকেট মিরপুর স্টেডিয়ামেই খেলছিল বাংলাদেশ দল। ঘূর্ণি জাদুতে স্বাগতিকদের নাকাল করেছেন স্পিনাররা।
প্রথম ম্যাচে ৬ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ উইকেট জয় পায় টাইগাররা। দুই ম্যাচে উইন্ডিজরা ১৪৯ ও ১০৮ রানে অলআউট হয়েছি। প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি তারা। শেষ ম্যাচেও তেমন দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি করতে চাইবে বাংলাদেশ। তবে হোয়াইটওয়াশের মঞ্চে কিছু পরীক্ষানিরীক্ষাও করবে টিম ম্যানেজমেন্ট। বেঞ্চের শক্তি যাচাই করা হবে।
তাই শনিবার একাদশে পরিবর্তন আসবে। তাসকিন আহমেদের সঙ্গে সুযোগ পেতে পারেন দুই ম্যাচে সাইড বেঞ্চে থাকা এনামুল হক বিজয়। মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাসকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। একাদশ যেমনই হোক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টানা ওয়ানডে জয়ের সংখ্যাটা ১১ তে উন্নীত করাই বাংলাদেশের টার্গেট।
ওয়ানডে সিরিজে হোম কন্ডিশনেও বিপর্যস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্পিনারদের সামনে যেন কূল-কিনারা কিছুই খুঁজে পাচ্ছেন না ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা। নিশ্চিতভাবেই আজ ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে তারা, হারের বৃত্ত ভেঙে জয়ের জন্য মুখিয়ে থাকবে। কিন্তু ইনফর্ম টাইগারদের বিরুদ্ধে কাজটা সহজ হবে না তাদের জন্য। তাছাড়া চলতি বছরে ১৪ ওয়ানডে খেলে ১০টি তে হেরেছে দলটি, সবমিলিয়ে পরিসংখ্যানও স্বস্তির খবর দিচ্ছে না উইন্ডিজদের।
এদিকে, ওয়ানডেতে এ পর্যন্ত ৩৯৬টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সেখানে জয় ১৪২টি, হার ২৪৭টি এবং ৭টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। কিন্তু দেরিতে হলেও, বাংলাদেশের জয়ের অনুপাত হারের চেয়ে বেশি। বিশেষভাবে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশ ১৬টি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে। হার মাত্র ৪টি সিরিজে। যা এই ফরম্যাটে তাদের শক্তির বড় প্রমাণ।
বাংলাদেশ দল:
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), নাজমুল হোসাইন শান্ত, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসাইন, মোসাদ্দেক হোসাইন, মেহেদি হাসান মিরাজ, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), এনামুল হক বিজয়, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও এবাদত হোসাইন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল:
নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), শামারাহ ব্রুকস, ব্রান্ডন কিং, রোভম্যান পাওয়েল, কেসি কার্টি, কাইল মায়ার্স, গুদাকেশ মোতি, কিমো পল, শাই হোপ, আকিল হোসাইন, আলজারি জোসেফ, এন্ডারসন ফিলিপ ও জেইডেন সিলেস।