কোরবানির পশু জবাই করার সময় শুরু হয় ঈদুল আজহার নামাজের পর থেকে এবং শেষ হয় ১২ জ্বিলহজ্জ সূর্যাস্তের মাধ্যমে। অর্থাৎ জবাই করার সময়কাল ৪দিন: ঈদুল আজহার দিন ও ঈদের পরে আরও দুইদিন।
উত্তম হচ্ছে- ঈদের নামাজের পর দেরি না করে অবিলম্বে কোরবানি করা। যেভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম করেছেন। এরপর ঈদের দিন প্রথম যে খাবার খাবে সেটা হবে কোরবানির গোশত।
মুসনাদে আহমাদে (২২৪৭৪) বুরাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন সকালে না-খেয়ে বের হতেন না। আর ঈদুল আজহার দিন (ঈদগাহ থেকে) ফেরার আগে খেতেন না। ফিরে এসে কোরবানির গোশত খেতেন।”
যদি কেউ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, ১০ ও ১১ জ্বিলহজ্জ সফরে থাকে। তারপর ১২ জ্বিলহজ্জ সূর্যাস্তের আগে বাড়ি ফিরে আসে, তবে তার উপর কোরবানি করা ওয়াজিব হবে।’ (আলমগীরি)
আলী বিন আবু তালেব (রা.) বলেন, কোরবানির দিনসমূহ হচ্ছে- ১০ জ্বিলহজ্জ ও এরপর আরও ২ দিন। এটি বসরার ইমাম হাসানের মাযহাব, মক্কাবাসীর ইমাম আতা বিন আবু রাবাহ এর মাযহাব, শামবাসীর ইমাম আওযায়ির মাযহাব, হাদিসবিশারদ ফকীহদের ইমাম শাফেয়ির মাযহাব। ইবনুল মুনযিরও এ মাযহাব গ্রহণ করেছেন। কেননা তিন দিন হচ্ছে- মীনার দিন, কংকর নিক্ষেপের দিন, তাশরিকের দিন যেগুলোতে রোজা রাখা হারাম। এ বিধানগুলোর দিক থেকে এ দিনগুলো ভ্রাতৃতুল্য।
কোনো দলিল কিংবা ইজমা ছাড়া কোরবানির পশু জবাই করার ক্ষেত্রে এ দিনগুলোর বিধানে গরমিল হবে কীভাবে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে দুইটি সনদে বর্ণিত হয়েছে যে, “মীনার সর্বত্র কোরবানির স্থান এবং তাশরিকের দিনগুলোর সর্বাংশ কোরবানির সময়” হাদিসটির দুই সনদের একটি অপরটিকে শক্তিশালী করে।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দিনে কিংবা রাতে কোরবানির পশু জবাই করা জায়েজ। তবে, দিনের বেলা জবাই করা উত্তম। আর ঈদের দিন খোতবাদ্বয়ের পরে জবাই করা উত্তম এবং পরের দিনের চেয়ে পূর্বের দিনে জবাই করা উত্তম। যেহেতু এতে করে নেকীর কাজটি দ্রুত করা যায়।