স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় ফিল্মী স্টাইলে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাজারের দোকান ঘর থেকে দুই ব্যবসায়ীকে অপরহরণ করে ট্রলারযোগে (ইঞ্জিন চালিত নৌকা) নিয়ে আসে অপহরণকারীরা। ৯৯৯-এ কল পেয়ে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অপহরণের দুই ঘন্টার মধ্যে অপহৃত ব্যবসায়ীদের উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় এক অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
উদ্ধারকৃত দিপাকর তালুকদার (৩৭) তিনি উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের বড়ইউন্দ বাজারে নগদ, বিকাশ ও ফ্লেক্সি লোড ব্যবসায়ী এবং সাবেক ইউপি সদস্য। আরেকজন হলেন একই বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী ও পল্লী চিকিৎসক রিপন তালুকদার (৪২)। দুজনেই বড়ইউন্দ গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযুক্তরা হলেন- বড়খাপন ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মাইন উদ্দিন বিশ্বাস (৫৬), তার তিন ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম বিশ্বাস (৩২), মো. মিলন বিশ্বাস (৩৫) ও মাসুম বিশ্বাস (২৬) এবং নয়ন মিয়া (৩২), সঞ্জিত দাস (৪৩), রুবেল দাস (২৯), জিতেন্দ দাস (৪৩), সুভাস দাস (৪০), অঞ্জন দাস (৪৪) ও শালিম বিশ্বাস (৩২)। তারা সকলে একই ইউনিয়নের বড়খাপন পুর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। শফিকুল ইসলাম বিশ্বাস তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
অপহৃত দুজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাদের দোকান খুলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসা ছিলেন। হঠাৎ মিলন বিশ্বাসের নেতৃত্বে ফিল্মী স্টাইলে ১০-১১ জনের দলটি তাদের উপর দেশী অস্ত্র নিয়ে দোকানে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়। দুজনের দুই দোকান থেকে তুলে এনে ট্রলারে করে বর্তমান মেম্বার মাইন উদ্দিন বিশ্বাসের বাড়ির কাছে ও বড়খাপন ইউপির পুরতান অফিসের পেছনে পরিত্যাক্ত দোকান ঘরে নিয়ে এসে আটকে রাখে। ট্রলারে করে আনার সময় বলতে থাকে ‘তোদের কোন বাপ আছে তাদের খবর দে। কিভাবে তোদের বাঁচায়।’
তারা দুজন আরো জানায়, কিছু দিন আগে এলাকায় গড়াডোবা বিলে ইজারা নেন তারা কয়েকজন মিলে। এ ইজারায় দুজনের ২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। অভিযুক্তরা এই বিল ইজারা নেওয়ার সময় তৃতীয় দরদাতা হন। তারা ধারনা করছেন এর জেরে ধরেই তাদের অপহরণ করে তুলে আনা হয়েছে। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করেন। থানায় ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিবেন বলে তারা জানান।
কলমাকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ থেকে বিষয়টি জানানোর পর দুই ঘন্টার মধ্যে দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। নৌপথে গিয়ে উদ্ধারে একটু সময় লেগেছে। এ ঘটনায় শফিকুল নামে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।