স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বিদ্যালয়ের টিন কেটে ও কক্ষের জানালা ভেঙে ডোবা থেকে মাছ ধরার জন্য অবৈধপন্থায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে সেচ কার্যক্রম চালায় স্থানীয় তিন যুবক। বাঁধা দিলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মোস্তফা কামালকে বাঁশ ও রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে যুবকেরা। তিনি উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের সেহড়াউন্দা গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক এবং একই গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার মাথায় নয়টি সেলাই ও বাম হাত ভেঙে গেছে।
অভিযুক্ত তিন যুবক হলো- উপজেলার সেহড়াউন্দা গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে মোবারক (২০), বকুল মিয়ার ছেলে সুমন (২০) ও সেকুল মিয়ার ছেলে শরীফ (১৫)। ভূক্তভোগী শিক্ষক মোস্তফা কামাল হলেন একই গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত মোবারকের আপন চাচা ও অন্যান্যরা সম্পর্কে শিক্ষকের চাচাতো ভাইয়ের দিকে ভাতিজা জানা গেছে।
সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালে গেলে দেখা যায়, শিক্ষকের মাথায় ব্যান্ডেজ ও বাম হাতে প্লাস্টার করা অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন।
এসময় শিক্ষক মোস্তফা কামালের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় গত রবিবার দুপুরের দিকে একটি কক্ষের টিন কেটে ও জানালা ভেঙে অবৈধভাবে বিদ্যুৎের সংযোগ লাগিয়ে ডোবায় সেচ দিতে থাকে অভিযুক্তরা। তা দেখে তিনি প্রতিবাদ করেন। ক্ষিপ্ত হয়ে সুমন, শরীফ ও মোবারক তারা বাঁশের লাঠি ও রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে ও হাতে পায়ে পিটাতে থাকে। এতে মাথা ফেটে গিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। বাম হাত ব্যাথায় নাড়াতে কষ্ট হচ্ছিল। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিধলী বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে নেত্রকোনা হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন।
ভূক্তভোগী আরো বলেন, মাথায় নয়টি সেলাই লেগেছে ও হাড় ভেঙে যাওয়াতে বাম হাতে প্লাস্টার করতে হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার চিন্তা ভাবনা করছেন তিনি।
এঘ টনার সত্যতা নিশ্চিত করে কলমাকান্দার সিধলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক উজ্জল কান্তি সরকার জানান, অভিযোগ না পেলেও খবর পেয়ে গত রবিবার রাতে অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। এখনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযুক্তদের মধ্যে মোবারক সম্পর্কের ভিকটিমের আপন ভাতিজা ও অন্যান্যরা চাচাতো ভাইয়ের দিকের ভাতিজা।