আসন্ন কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেনের উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলামও ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে বনানীতে শেরাটন হোটেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাইলট প্রকল্প ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট হাট’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ পদ্ধতির উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল আযহায় পশুর হাটে নগদ অর্থের লেনদেন ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। হাটকে কেন্দ্র করে বেড়ে যায় জাল নোট, ছিনতাই ও বিভিন্ন প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড। আসন্ন ঈদুল আযহায় এসব সমস্যা এড়াতে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট হাট’ পাইলট প্রকল্পটি চালু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রকল্পটি পরিচালনায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) যৌথভাবে কাজ করছে। সার্বিক সহায়তা করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন।
এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে হাট সংশ্লিষ্ট তিনটি এলাকায় প্রান্তিক খামারিদের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৬টি পশুর হাটে (গাবতলী, বসিলা, আফতাবনগর, ভাটারা, কাওলা ও উত্তরা ১৭ নং সেক্টর) ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাটগুলোর সংশ্লিষ্ট ইজারাদাররাও এই কার্যক্রমের সঙ্গে একমত পোষণ করে প্রকল্পে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করছেন।
ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন ও পরিচালনার জন্য ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংক হাটগুলোতে একযোগে কাজ করছে। এগুলো হচ্ছে- ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড। এছাড়া মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে থাকছে বিকাশ লিমিটেড ও ইসলামী ব্যাংক এম ক্যাশ।
এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি হাটে একটি করে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন করা হবে। সেখানে ক্রেতারা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পিওএস এ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, কিউআর কোডের মাধ্যমে অথবা বুথে থাকা এটিএম মেশিন থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন করেও বিক্রেতাকে পশুর দাম পরিশোধ করতে পারবেন। পাশাপাশি, এর মাধ্যমে ক্রেতারা ইজারাদারদের হাসিলের নগদ অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন।
দ্যা মেইল বিডি/খবরসবসময়