স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনায় একসাথে এক ছেলে ও দুই কন্যা সন্তানের মা হলেন রমিন আক্তার (২৭) নামে এক নারী। গত বৃহস্পতিবার রাতে নেত্রকোনা পৌরশহরে সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক আফরিন সুলতানার সফল অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে ওই হাসপাতালে তিন শিশু পৃথিবীর আলোর মুখ দেখেন। মা ও সদ্য ভূমিষ্ট তিন শিশু ভালই আছেন জানায় ডাক্তার ও শিশুদের মা।
গর্ভধারিনী রমিন আক্তার জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলায় মাঘান সিয়াদার ইউনিয়নে বাক্তারগাতী গ্রামের শেখ সাদির স্ত্রী। দীঘদিনের সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। অবশেষে বিয়ের চার বছর পর তাদের একসাথে তিন শিশু জন্ম লাভ করে। একসাথে তিন সন্তান পেয়ে এই দম্পত্তি খুবই উৎফুল ও খুশির আমেজ তাদের মাধ্যে।
হাসপাতালে রমিন আক্তার ও তার স্বামী শেখ সাদির সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের বিয়ে হয়েছে চার বছরের মতো। রমিন শারিরীক সমস্যার কারণে মা হতে পারছিলেন না। ঢাকায় অনেক চিকিৎসার শেষে গর্ভে সন্তান আসে। করোনার জন্য তারা বাড়িতে চলে আসেন। আল্ট্রাস্নোগ্রামে জমজ সন্তান ধরা পড়লে ডা. আফরিন সুলতানার তত্ত্ববধানে চিকিৎসা নিতে থাকেন। গত এক মাস ধরে রমিন আক্তার শারিরীক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন।
একই ডাক্তারে সরনাপন্ন হলে তিনি সময় হয়নি বলে অগ্রিম সিজার করতে চাননি। পরে ময়মনসিংহ হাসপাতালে গিয়েছেন তারা। সেখানেও সময় না হওয়াতে সিজার করেনি। বাড়িতে চলে এসে আবার ডাক্তার আফরিন সুলতানার সাথে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করেন তারা। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার প্রসবব্যাথা শুরু হলে ডাক্তার সিজার করতে সম্মত হন।
এব্যাপারে ডা. আফরিন সুলতানা দবলেন, আলট্রাস্নো রিপোর্টে যমজ সন্তান তাই জানতাম। রোগী অনেক আগে থেকে সিজারের জন্য চাপ দিতে ছিল। এ রোগীর পাইলসেরও সমস্যা ছিল। তাছাড়া ৩৬-৩৭ সপ্তাহ না হলে গর্ভে সন্তানের পরিপক্ষতা আসে না। বলেছিলাম আল্লাহ উপর ভরসা রাখেন। পরে ময়মনসিংহ গিয়ে এ রোগী চিকিৎসাও নিয়েছেন। পরে আমার সাথে আবার যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। বৃহস্পতিবার রাতে প্রসব ব্যাথা নিয়ে আসেন রোগী। অস্ত্র পাচারের সময় দেখতে পায় যমজ না তিন সন্তান। এক ছেলে ও দুই কন্যা সন্তান। মা ও শিশুরা সবাই সুস্থ আছেন।