ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জোরালো সমর্থন প্রদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা বৃহস্পতিবার ইউক্রেন ও মালদোভাকে ইইউ’র প্রার্থীর মর্যাদা দিয়েছেন।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের প্রধান শহরগুলো রাশিয়ান বাহিনী অবরুদ্ধ করে রাখা এবং গ্যাস ও শস্য রফতানিতে নিষেধাজ্ঞায় বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ার পরে পশ্চিম সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে ইউক্রেন ও মালদোভাকে ইইউ’র প্রার্থীর মর্যাদা ঘোষণা করলো।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশ এবং মালদোভা সম্পর্কে ইইউ’র সিদ্ধান্তকে ‘একটি অনন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসাবে স্বাগত জানিয়েছে। সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের এই দেশ দুটি দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে এবং এখন দেশ দুটি অবাধ চলাচল ও একটি সাধারণ বাজার সুবিধা পাবে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনের ভবিষ্যত ইইউ‘র মধ্যে’। তিনি কয়েক সপ্তাহ ধরে ফোনের মাধ্যমে তার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা জিতবো, পুননির্মান করবো, ইইউতে প্রবেশ করবো এবং তারপর বিশ্রাম নেব অথবা সম্ভবত আমরা বিশ্রাম নেব না।’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেছেন, ইইউ নেতাদের সিদ্ধান্ত রাশিয়াকে ‘অত্যন্ত জোরালো সংকেত’ পাঠিয়েছে যে, ইউরোপীয়রা ইউক্রেনের পশ্চিমাপন্থী অকাক্সক্ষাকে সমর্থন করে।
হোয়াইট হাউস ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা ইউক্রেনে উচ্চমানের মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমসহ আরো ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের নতুন অস্ত্র পাঠাচ্ছে। হিমার্স সিস্টেম হিসেবে পরিচিত বর্ধিত পাল্লার এই রকেট নির্ভুলভাবে উৎক্ষেপণ এবং লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
প্রাথমিকভাবে চারটি ইউনিট ইতোমধ্যেই সরবরাহ করা হয়েছে, ইউক্রেনীয় সৈন্যদের এসব সরঞ্জাম পরিচালনায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বাইডেন প্রশাসন বলেছে, এই রকেট রাশিয়ার ভূখন্ডে হামলায় ব্যবহার করা হবে না বলে কিয়েভ আশ্বাস দিয়েছে।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়