পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরী, ফেনী জেলা প্রতিনিধি: ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় মুহুরী নদীর পাড় থেকে ভারতীয় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পরশুরাম থানা-পুলিশ। সোমবার(৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সোমবার সকালে দূবলাচাঁদ এলাকার মুহুরী নদীর পাড়ে একটি গাছের ডালের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। এ সময় তাঁর পরনের শাড়ি গলায় প্যাঁচানো ছিল এবং একটি গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। তবে ভারত থেকে তিনি কীভাবে বাংলাদেশে এসেছেন তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। নিহত নারীর নাম আরতি রানী দাস (৫০)। তিনি ভারতের ত্রিপুরা বিলোনিয়ার নামঠাকুর পাড়ার সুরেন্দ দাসের স্ত্রী। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে দূবলাচাঁদ এলাকার লোকজন ঘুম থেকে উঠে নদীর পাড়ে একটি গাছের সঙ্গে ওই নারীর মরদেহ ঝুলতে দেখে স্থানীয় কাউন্সিলরকে খবর দেন। কাউন্সিলর আবদুল মান্নান লিটন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরশুরাম থানার পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। স্থানীয় গ্রামবাসী প্রথমে ওই নারীর পরিচয় জানতে না পারলেও পরে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহত নারীর নাম আরতি রানী দাস। তিনি ভারতের ত্রিপুরা বিলোনিয়ার নামঠাকুর পাড়ার সুরেন্দ দাসের স্ত্রী। তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করেন সুরেন্দ দাসের আগের সংসারের মেয়ে প্রভারানী দাস। প্রভারানী দাস জানান, ৩০ বছর আগে তাঁর মা হিরনী রানী দাস মারা যাওয়ার পর তাঁর বাবা ভারতে গিয়ে আরতি রানী দাসকে বিয়ে করে সেখানে ঘর সংসার শুরু করেন। তারপর থেকে ওই পরিবারের সঙ্গে তাঁদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। তাঁর দুই ছেলে এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। আরতি রানীর স্বামীর বাড়ি জেলার ফুলগাজী উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের জেলে পাড়ায়। নিহত আরতি রানী দাসের স্বামী সুরেন্দ দাস মারা যান বলে জানা গেছে। তবে কবে মারা গেছেন তাঁরা তা জানেন না। পরশুরাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, সকালে ভারতীয় নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বর্তমান ঠিকানা ভারতে, কিন্তু তিনি কীভাবে বাংলাদেশে এসেছেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তবে নিহত ভারতীয় নারী কি আত্মহত্যা করেছেন নাকি অন্য কোনো ঘটনা তা ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করেছে বলে জানান ওসি।
আপনি যা যা মিস করেছেন
Add A Comment