স্টাফ রিপোর্টার : শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে নেত্রকোনায় আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল থেকে ইউনিয়ন (ইউপি) বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিনের (৫৫) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বাম হাত ভেঙে যাওয়ার অভিযোগ ভূক্তভোগী মাহতাব উদ্দিনের।
শনিবার (৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় লেংগুরা ইউপির লেংগুরা বাজার উত্তরের মোড়ে অবস্থিত তাহু মিয়ার চা স্টলে হামলার ঘটনা ঘটে। মাহতাব উদ্দিন একই ইউপির উদাপাড়া গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে।
লেংগুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, মাহতাব উদ্দিন তাহু মিয়ার চা স্টলে বসা ছিলেন। আ.লীগের বিক্ষোভ মিছিল থেকে আনোয়ার ও লিটনের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন মিলে তাকে বেদম পিঠায়। তাকে আহত অবস্থায় দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক এক্সরে করতে দেন। এক্সরেতে মাহতাবের বাম হাত ভেঙে গেছে। সেখানে ডাক্তাররা হাতে প্লাস্টার করে দিয়েছে।
ভূক্তভোগী মাহতাব উদ্দিন জানান, গত একসপ্তাহ আগে কসাই বাড়ির আনোয়ার রাতের বেলায় বিএনপির অফিসের সামনে ঘর তুলতে চাইছিল। বাজারের ভেতরে রাস্তা বন্ধ করে ঘর তৈরিতে আমাদের অভিযোগে চেয়ারম্যান সাহেব বাজারের সভাপতি হিসেবে তাতে বাধা দেওয়ায় ঘর তুলতে পারেনি। আজ (শনিবার) বাজারের উত্তর মোড়ে তাহু মিয়ার চা স্টলে বসারত অবস্থায় ছিলাম। বিক্ষোভ মিছিল থেকে আনোয়ার ও লিটন লোকজন নিয়ে রামদা দিয়ে হামলা চালায়। সাত-আটজনের সামনে রামদার উল্টো দিক দিয়ে আমাকে আঘাত করে। এতে আমার বাম হতে ভেঙে গেছে।
ইউপি যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেওয়া আনোয়ার ফোনে চা স্টলে ঢুকে হামলার সত্যতা প্রতিবেদকের কাছে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘হাত ভেঙে গেলে কি করা যাইবো। বাজারে ঘর দেওয়ার সময় তারা (বিএনপি) বাধা দেয়। কয়েক দিন আগে বিএনপির শতেকখানেক লোক আমাদের দুই ভাইকে লাঠি-শোঠা নিয়া মারতে আইছে। আজকের (শনিবার) মিছিলে শুধু যুবলীগ না, আ.লীগ ও ছাত্রলীগ সবাই ছিল। তারে (মাহতাব) তো আমি বাঁচাইয়া রাখছি।’ বাঁচানোর মালিক তো আল্লাহ প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বাঁচাবে আল্লাহ, উচিলা তো আমরা।’
কলমাকান্দা থানার ওসি মো. আবদুল আহাদ খান জানান, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। ঘটনাটির খোঁজ নিয়ে দেখছি।